ঢাকার যাত্রীদের সিটের জন্য হাহাকার

 প্রতিনিধি।।
ঈদের ১০ দিনের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা শুরু করেছেন কর্মজীবীরা। একসঙ্গে অনেক মানুষ ঢাকা অভিমুখে রওয়ানা করায় শনিবার সকাল থেকে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এদিকে বাসের সিটের জন্য যাত্রীদের দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায়। এদিকে রাত ৮টায় প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। যাতায়াতে সময় ও অর্থ দুটিই বেশি ব্যয় হওয়ার পরও নির্বিঘেœ কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ।
শনিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নন্দনপুর, আলেখারচর ও জাগুরঝুলি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঢাকামুখী বাসগুলো অন্যান্য সময়ের চেয়ে দ্রুত ঢাকার দিকে যাত্রা করছে। যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় গাড়ি ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে না। তবে গাড়ি পেতে বেগ পেতে হচ্ছে যাত্রীদের। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও কাঙ্ক্ষিত বাস না পাওয়ায় হতাশ হতে হচ্ছে তাদের।
কোটবাড়ি বিশ্বরোডে অপেক্ষমাণ যাত্রী জামাল উদ্দিন জানান, বাসের জন্য ৩০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করছি, পদুয়ার বাজার থেকে কোনো বাস খালি আসছে না। আশা করি, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে পেয়ে যাব।
আলেখারচরের আরেক যাত্রী আল আমিন জানান, ঢাকা নাবিস্কো যেতে হবে। এখানে বাস স্ট্যান্ড নেই। মাঝেমধ্যে কিছু বাস দাঁড়াত। আজকে মনে হয় পাব না। শাসনগাছা স্ট্যান্ডে যেতে হবে।
দি মোটরস অ্যাসোসিয়েশন কুমিল্লার সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার বলেন, বাসে ভীষণ চাপ রয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী সব বাসই দ্রুততার সাথে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। রোববার থেকে চাপ কমে আসবে।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক চালক ছুটি শেষ করে কর্মস্থলে ফেরননি। চাপ বাড়ার এটাও একটা কারণ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) খাইরুল আলম বলেন, মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অফিসাররাও মাঠে থেকে ডিউটি করছেন। যে কারণে যানজট ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।

inside post
আরো পড়ুন