তারা আগের রাতে ভোটের পাঁয়তারা করছে: মির্জা ফখরুল

‘হাসিনা আমেরিকা থেকে আসছে খালি হাতে’

তৈয়বুর রহমান সোহেল।।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হাসিনা আমেরিকা থেকে উইড়া আসছে খালি হাতে। তারা আবারো আগের রাতে ভোটের পাঁয়তারা করছে। তারা (আমেরিকা) কি সাড়া দিছে? দেয়নি। আজ সকল গণতান্ত্রিক শক্তি এক জোট হয়েছে। কথা পরিষ্কার, নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। আজকে তারা ভয় দেখায়। ভয়ে কোনো কাজ হবে না।

বৃহস্পতিবার এক দফা দাবিতে কুমিল্লার কালাকচুয়ায় আয়োজিত কুমিল্লা-চট্টগ্রাম রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে ডিমের ডজন ১৫০টাকা, বাচ্চাদের খাওয়াতে পারি না। আজকে লুটপাটের সরকার আমাদের বুকের ওপর বসে আছে। আজ খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দিচ্ছে না। তারা জানে খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে ফিরলেই তারা শেষ। তারা নাকি উন্নয়ন করছে। তারা আজ রূপপুরে ইউরেনিয়াম নিয়ে আসছে। ইউরেনিয়ামের কারণে মাইলের পর মাইল ধ্বংস হয়ে যাবে। কোনো নিরাপত্তা বিধান না করে আজ দুর্নীতির কারণেই এমন প্রকল্প নিয়ে আসছে সরকার। তারা আমাদের কথা বলতে দেয় না, কথা বললেই মামলা। তারা আন্দোলনে ২২ জনকে গুলি করে মেরেছে, সাতশ মানুষকে গুম করেছে, সহস্র মানুষকে হত্যা করেছে। আমাদের দাবি একটাই, আমরা ভোট দিতে চাই। শেখ হাসিনার অপর নাম কি? ভোট চোর। এই রোডমার্চের মাধ্যমে সরকারকে জানিয়ে দিচ্ছি, আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে। নাহলে জনগণ জানে আপনাদের কীভাবে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, লাফিয়ে লাফিয়ে স্লোগান দিলে হবে না, রাজপথ দখলে রাখতে হবে। বন্ধুরা, বাবারা, ছোট ছোট ভাইয়েরা আমাদের জেগে উঠতে হবে। রাজপথ দখল করে সরকার হটাতে হবে।

( রোডমার্চ উপলক্ষে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য কাউসার জামান বাপ্পীসহ নেতাকর্মীদের বিলবোর্ড ও ফেস্টুন।)
প্রধান বক্তা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এরা বিদায় হয়ে গেছে, মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। এর বুঝতে পারছে ক্ষমতা শেষ। এদের শুধু শরীর দেখা যায়। দেশ থেকে বিদায় হয়ে বিদেশে গিয়ে অনেক চেষ্টা করছে, ধারে ধারে ঘুরছে, হাতেপায়ে ধরছে, কোনো লাভ হয় নাই। আজ বাংলাদেশের মানুষ এক পক্ষে, হাসিনার রেজিম এক পক্ষে। এদের শক্তি কিছু দুর্বৃত্ত, পুলিশ, আমলা রাজনীতিবিদ। আগামী কিছুদিন কঠিন সময় পার করতে হবে। রাস্তা ছাড়া যাবে না। আজ সকল পক্ষ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শামিল হয়েছে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, শান্তি সমাবেশ করে জনস্রোতের সামনে দাঁড়াতে পারবেন? তাদের কথা শুনলে মনে হয় তারা কোনো রাজনৈতিক দল? এদের পাগলা গারদে পাঠানোর সময় হয়ে গেছে। ঝড়বৃষ্টি, বাদলবন্যা আমাদের কেউ থামাতে পারবে না। এই নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ী হতে হবে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়াসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।