তার রঙের ঘর সংসার!
মহিউদ্দিন মোল্লা।।
ফুটেছে ফুল উড়ছে পাখি। ঝরছে শ্রাবণের বারিধারা। কিংবা চাঁদের আলোর মোহনীয় রূপের দেখা মিলছে। পাল তুলে নৌকা চলছে। সূর্য ডুবে ঘনিয়ে আসছে সন্ধ্যা। এটা কোন চিত্র প্রদর্শনীর বর্ণনা নয়। প্রকৃতির এমন সব নান্দনিক দৃশ্য ফুটে উঠেছে বাসার কাঁচের জানালায়। ভাড়া বাসার জানালা গুলোকে এমন বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। ওয়েডিং ফটোগ্রাফার ইলিয়াস হোসাইন কাজের ফাঁকে একাজ গুলো করেন। প্রতিবেশীরা প্রায় তাঁর বাসার জানালায় আঁকা ছবি গুলো দেখতে আসেন। বাড়িওয়ালাও খুশি বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে।
ইলিয়াস হোসাইন জানান,তিনি নগরীর বজ্রপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। ওয়েডিং ফটোগ্রাফির পাশাপাশি তিনি প্রকৃতির ছবি তোলেন। ক্যামেরায় ছবি তোলার সাথে তিনি প্রকৃতির ছবি হাতে আঁকতেও পছন্দ করেন। তার এই নিয়ে কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তবে স্কেচের বিষয়ে শিল্পী মো. শাহীনের পরামর্শ নেন। ছবি আঁকার পাশাপাশি তিনি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পড়ান। শখের বসে আঁকেন। এ পর্যন্ত শতাধিক ছবি এঁকেছেন। বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। সেসব ছবি শুভানুধ্যায়ীদের উপহার দিয়েছেন। ভাড়া থাকা বাসার জানালা গুলো পুরাতন হয়ে গেছে দেখে সেখানে প্রকৃতিকে তুলে ধরেন। প্লাস্টিকের বোতল কেটে বানিয়েছেন ফুলদানি, টব। টবের গায়েও ফুঠে উঠেছে নানা দৃশ্য। সেগুলো দুলছে বাতাসে। বাসার মলিন দেয়ালেও তিনি রঙের তুলি ছুটান। টেবিলে করেন আল্পনা।
এসব কাজে পরিবারের সদস্যরাও তাকে সহযোগিতা করেন।
কুমিল্লার চিত্রশিল্পী সামিউল আলম জাহেদ বলেন,তিনি নিজে ক্যানভাসের পাশাপাশি চকে কাজ করেছেন। বিভিন্ন মনীষীর ছবি ফটিয়ে তুলেছেন। শিল্পীর কাজের কোন নির্দিষ্ট মাধ্যম নেই। মাটি লতা পাতা যেখানে খুশি শিল্পী তার কাজ ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
কুমিল্লা জেলা কালচারাল অফিসার আয়াজ মাবুদ বলেন,ইলিয়াছ সৃজনশীল মানুষ। তার ফটোগ্রাফি সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। তার ছবি তোলার সুন্দর চোখ আছে। তার আঁকা ছবি গুলোও দেখবো।