তীব্র গরমে শরবতে স্বস্তির খোঁজ

 

হাসিবুল ইসলাম সজিব।।

তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের।  পিপাসায় কাতর হয়ে পড়ছেন পথচারীরা। স্বস্তি খুঁজছেন বরফগলা শরবতের ভ্যানে।

২৭ এপ্রিল (শনিবার) কুমিল্লা নগরীর পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড,টমছম ব্রিজ, ইপিজেড গেইট,মেডিকেল কলেজ গেইট,সদর হসপিটাল গেইট, কান্দির পাড় মোড়, শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড,কুমিল্লা রেল স্টেশন, রানীরবাজার,আদালতের সামনে, চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত, গলি কিংবা শপিংমলের পাশে চোখে পড়ে শরবত বিক্রির ভ্যান। এসব মৌসুমী দোকানের অধিকাংশই শীত এলে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু গরমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় লেগেই থাকে। শহরের ফুটপাতে হাঁটলে কিছুক্ষণ পরপর ভ্যানে মিলছে লেবু,আখের রস, তোকমা, ইসবগুল কিংবা বেলের শরবত। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন তাদের তৃষ্ণা মেটায় এসব শরবতের ভ্যানের শরবত খেয়ে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে এক রোগীর স্বজন জানান, আমি আমার বাবাকে নিয়ে হসপিটালের চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসছি ।তীব্র গরমে শরীর ঘেমে যাচ্ছে, গলা শুকিয়ে আসে, বাইরে এসে বরফগলা শরবত বিক্রি করা ভ্যান খুঁজি গলাটা ঠান্ডা করার জন্য। শরবত খাওয়ার পর শরীর অনেকটা ঠান্ডা লাগে।

শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় পথচারী রফিকের সাথে।  তিনি জানান, বাইরে এতো গরমে পড়ছে, একটু হেটে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। খোঁজ নিচ্ছি শরবত বিক্রয় করা ভ্যানের। বরফগলা শরবত খেলে শরীরে স্বস্তি ফিরে পাই।

এক রিকশা চালক জানান , তীব্র গরমেও ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে। গরমে রিকশা চালিয়ে একটু পর পর ক্লান্ত হয়ে পড়ি।  ভ্যানে বিক্রি করা ১০-২০ টাকা দামের বরফগলা শরবত খেয়ে ক্লান্তি দূর করি।