দুই মন্ত্রীর এলাকায় থমকে গেছে ফোরলেন

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক
মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক। দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর এলাকায় থমকে গেছে এই মহাসড়কের ফোরলেনে উন্নীতকরণের কাজ। দুই বছরের কাজ পাঁচ বছর ধরে চলছে। এখানে প্রতিনিয়ত যানজটে আটকা পড়ছে মানুষ। সড়ক সরু হওয়ায় ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলার যাত্রীরা। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার দৌলতগঞ্জ বাজার বাইপাস এলাকা,চন্দনা বাজার ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের এলাকা লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার,শানিচৌঁ বাজার এলাকার ফোরলেনের কাজ আটকে আছে। দুই মন্ত্রী হস্তক্ষেপ করলে দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

যাত্রী ও পরিবহন চালকদের সূত্র জানায়, ছয় বছর ধরে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ফোরলেনের কাজ চলছে। লাকসাম বাইপাস ও লালমাইয়ের বাগমারায় যানজটে ক্ষুব্ধ যাত্রী, পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকরা। থমকে আছে লালমাইয়ের শানিচৌঁ ও লাকসামের চন্দনা বাজার এলাকার ফোরলেনের কাজ। দুই ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে পাঁচ ঘন্টা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার সূত্র জানায়, কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার ফোরলেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোসহ সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া কাজ ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। পরবর্তীতে ২০২২সালের জুনে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। তবে যে গতিতে কাজ চলতে তা আগামী বছরও কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম।

নোয়াখালীর সেনবাগের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ফোরলেনের নোয়াখালী অংশে মহাসড়কের পাশে অনেক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাই সেখানে কাজের গতি এসেছে। লাকসাম ও বাগমারা অংশেও এমন পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। নতুবা এখানে যেভাবে গাড়ি আটকে তাকে তেমনি ফোরলেন প্রকল্পও যানজটে আটকে থাকবে।

লাকসাম বাইপাসের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার বাইপাস ও বাগমারা বাজারে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরাসহ পরিবহন মালিক,যাত্রী সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। পাশাপাশি এখানে ট্রাফিক পুলিশিং ব্যবস্থা আরো জোরালো করা প্রয়োজন।
উপকূল বাস সার্ভিসের পরিচালক অধ্যাপক কবির আহমেদ জানান, যানজটের কারণে যাত্রীরা বিরক্ত। এছাড়া সরু সড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত সড়কটির কাজ শেষ করা প্রয়োজন।
কুমিল্লা মোটর এসোসিয়েশনের (বাস মালিক সমিতি) সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার বলেন,বাগমারা এলাকায় মাননীয় অর্থমন্ত্রী ও লাকসামে মাননীয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বাড়ি। তাদের সুদৃষ্টি পড়লে দ্রুত কাজ শেষ হবে। এতে চালক,যাত্রী সবার দুর্ভোগ কমবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, মোট কাজের প্রায় ৯৯ভাগ সমাপ্ত হয়েছে। বাগমারা বাজার, শানিচৌঁ ও চন্দনার কাজ রিট ও মামলা জটিলতায় আটকে আছে। আশা করছি আমরা দ্রুত একটা সুখবর পাবো। লাকসামে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার বাইপাস করতে হবে। সেটির ভূমি পরিমাপের কাজ করছি।