দুর্বৃত্তদের আগুনে প্রবাসীর বসতঘর পুড়ে ছাই

 

inside post

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে প্রবাসীর বসতঘর পুড়ে ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ফুলমুড়ি গ্রামে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ইনচার্জ মেহেদী হাসান।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি, গত মঙ্গলবার ফুলমুড়ি গ্রামের শহীদুল ইসলাম জীবিকার তাগিদে সৌদিআরবে যান। তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও দুই সন্তান পাশ^বর্তী ধনুসাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সোমবার রাত এগারটার দিকে ঘরে কেউ না থাকায় দূর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দেয়। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় বসতঘরে থাকা নগদ টাকা, ফ্রিজ, খাট ও স্বর্ণালঙ্কারসহ সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। নষ্ট হয়ে যায় টিনসেড বিল্ডিংয়ের দালানগুলো। এতে আনুমানিক ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে পাশের ঘরগুলো রক্ষা করে।
মঙ্গলবার সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, আগুনে পুরো ঘরের দালান ও টিনগুলো নষ্ট হয়েছে। ঘরের ভিতরের ফ্রিজ, খাট, খাবার, স্বর্ণালঙ্কারসহ পুড়ে কয়লা হয়ে নিচে পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সান্তনা দেয়ার ভাষা নেই কারো।
শহীদুল ইসলামের আত্মীয় সার্ভেয়ার বাহাউদ্দিন দুলাল বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগলে উপরের দিকে বেশি ক্ষতি হতো। হিংসাবশত কেউ ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ায় মুহূর্তের পুরো ঘর ছাই হয়ে যায়। ঘরের কিছুই আর ব্যবহার করা যাবে না। আমার বোন-ভাগিনার মাথা গোজার ঠাঁই শেষ করে দিয়েছে। আল্লাহর কাছে অপরাধীদের বিচার দিলাম’।
প্রবাসী শহীদুল ইসলামের ভাই মাহবুব আলম ও মহিউদ্দিন বলেন, ‘রাত এগারটার পরে হঠাৎ আগুন দেখতে পেয়ে ভাই ও ভাবিকে খবর পাঠাই। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর পাঠালে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে পুরো বসতরঘর ছাই হয়ে যায়। তবে আগুনের সূত্রপাত কিভাবে বলতে পারেনি তারা।’
মঙ্গলবার চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণ করে পাশের ঘরগুলো রক্ষা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুনের সূত্রপাত।’

আরো পড়ুন