দেশের কাজু বাদামের যোগান দিবে লালমাই পাহাড়!

 

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠছেন। পাল্টাচ্ছেন খাদ্যাভাস। খাবারের তালিকায় যোগ হয়েছে চীনা বাদাম,কাজু বাদাম,কাঠ বাদামসহ বিভিন্ন ধরণের বাদাম। এর মধ্যে কাজু বাদামের চাহিদা বেশি। এর দামও প্রতি কেজি হাজার ছাড়িয়ে। এই বাদামের অধিকাংশ আমদানি করতে হয়। দেশে এর চাষ বাড়লে দাম কমবে। দেশের টাকা বাইরে যাবে না। এসব মন্তব্য কুমিল্লার কৃষি সংশ্লিষ্টদের। আশার কথা হচ্ছে কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে কাজু বাদামের চাষ শুরু হয়েছে। গাছের গ্রোথও ভালো। কৃষি কর্মকর্তাদের আশাবাদ- কৃষকরা আন্তরিক পরিচর্যা করলে এখানে ভালো কাজু বাদাম উৎপন্ন হবে। লালমাই পাহাড়ে কাজু বাদামের চাষ বাড়লে দেশের কাজু বাদামের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।

কৃষি অফিসের সূত্রমতে, কুমিল্লার আদর্শ সদর, সদও দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলায় কাজু বাদামের চাষ হচ্ছে। তার মধ্যে আদর্শ সদরে তিনটি স্থানে। সদর দক্ষিণে তথা লালমাই পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় আটটি এবং লালমাই উপজেলার আঁচটি স্থানে কাজা বাদামের চাষ করা হচ্ছে। গত বছরের জুলাইতে এই বাদামের চাষ শুরু করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায়ও কাজু বাদামের চাষ হচ্ছে।

সরেজমিন লালমাই পাহাড়ের বড় ধর্মপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ের ঢালুতে কাজু বাদামের গাছের সারি। শ্রমিকরা আগাছা পরিষ্কার করছেন। গাছের গ্রোথও ভালো। সাথে সেখানে কফি গাছও লাগানো হয়েছে।

এই বাগানের উদ্যোক্তা তারিকুল ইসলাম মজুমদার বলেন, অপ্রচলিত উদ্ভিদ ও ফসল লাগানো আমার শখ। ইতোমধ্যে প্রথমবারের মতো লালমাই পাহাড়ে চা বাগান করেছি। এবার কাজু বাদাম ও কফির চাষ করছি। কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করেছে।

 

সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষি অফিসার হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, কুমিল্লার আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলায় কাজু বাদাম ও কফির প্রদর্শনী দিয়েছি। ফসলের অবস্থা ভালো। লালমাই পাহাড় এই ফসলের উপযোগী। আশা করছি অন্যান্য কৃষকরাও কাজু বাদাম ও কফি চাষে আগ্রহী হবেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো.মিজানুর রহমান বলেন, লালমাই পাহাড়ে কাজু বাদাম ও কফি চাষ পরিদর্শন করেছি। ফসলের অবস্থা ভালো।

কৃষকরা আন্তরিক পরিচর্যা করলে এখানে ভালো কাজু বাদাম উৎপন্ন হবে। লালমাই পাহাড়ে চাষ বাড়লে দেশে কাজু বাদামের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।