‘দেশে বিষে শীর্ষে কেউটে-রাসেলস ভাইপার ৩য়’
প্রতিনিধি।
বাংলাদেশে বিষধর সাপের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কেউটে সাপ। এই সাপের কারণে দেশে বেশি মানুষ মারা যান। রাসেলস ভাইপার রয়েছে ৩য় স্থানে। রাসেলস ভাইপারকে আমাদের দেশে চন্দ্রবোড়া ও উলুবোড়া বলে। ২য় অবস্থানে রয়েছে গোখরা সাপ। কেউটে সাপ গোখরা ও রাসেলস ভাইপার খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। কুমিল্লায় রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতির কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। দেশে প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের এন্টিভেনাম রয়েছে। তাই কেউ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে আনতে হবে। ওঝা খুঁজতে গিয়ে সময় নষ্ট করা যাবে না। ওঝা কখনও বিষমুক্ত করতে পারে না। এটা কুসংস্কার মাত্র।
‘রাসেলস ভাইপার ভয় নয়,সচেতনতায় হবে জয়।’ শিরোনামের সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক কুমিল্লা আর্মি মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা.মুহাম্মদ শাহআলম এই তথ্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন ৬জুলাই সন্ধ্যায় কুমিল্লা শাখা এই সেমিনারের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন,বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন(বিএমএ) কুমিল্লার সভাপতি ডা. আবদুল বাকী আনিস। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আকতার, বিএমএ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা.আতাউর রহমান জসীম। বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন কুমিল্লা শাখার সভাপতি ডা. চিন্ময় কুমার সাহার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডা. তারেক আহমেদ,ডা.মাহবুবুল ইসলাম মজুমদার, প্রফেসর মাখন লাল পাল, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নীহার রঞ্জন মজুমদার, ডা.মামুনুর রশিদ ভুইয়া ও ইবনেসিনা ট্রাস্টের এজিএম এন্ড হেড মুহাম্মদ নিয়াজ মাখদুম শিবলী প্রমুখ। সেমিনারারের সায়েন্টিক পার্টনার ছিলেন ইবনেসিনা ডায়গনস্টিক এন্ড কনসালটেনশন সেন্টার, কুমিল্লা।