মাথা তুলতে পারেনি দেলুর স্বপ্ন!


মহিউদ্দিন মোল্লা।।
তার বয়স ৫৪ বছর। ২০বছর পর থেকে কখনও মাথা তুলে আকাশ দেখতে পারেননি। শারিরীক প্রতিবন্ধকতাকে জয় না করতে পারলেও অর্থনৈতিক সংকট দূরের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্নও মাথা তুলতে পারেনি। তিনি আরো নুইয়ে পড়েছেন। তিনি দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বারপাড়া গ্রামের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা। তিনি কারো কাছে হাত পাততে নারাজ। তাই ব্যবসা করে চলতে চেয়েছেন। পর পর তিনবার দোকান চুরি হওয়ায় তিনি ভেঙ্গে পড়েছেন।

inside post


রবিবার বিকালে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, খাবার খেয়ে তিনি বাড়ি থেকে ফিরছেন। কুঁজো হয়ে গেছেন। লাঠি ভর দিয়ে হাঁটছেন। এক নজর দেখলে যে কারো মায়া লেগে যাবে। তিনি কারো কাছে হাত না পেতে ব্যবসা করে চলতে চেয়েছিলেন। দোকানের তালা খুলতেও তার কষ্ট হয়। দোকানের ভেতরে তার সিটটা অনেকটা বিছানার মতো।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২০বছর বয়সে টাইফয়েডে তিনি কুঁজো হয়ে গেছেন। ঠিকমত হাঁটা চলা করতে পারেন না। দোকানটি দিয়ে টেনেটুনে তিনি পরিবার চালিয়ে নিচ্ছিলেন। তিনবার চুরি হওয়ায় তিনি বেকায়দায় পড়ে গেছেন। তার দুই লাখ টাকার মতো ঋণ হয়ে গেছে।
দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী পাখি আক্তার বলেন,আমাদের তিনটি ছেলে মেয়ে নিয়ে টানাটানির সংসার। তার মধ্যে দোকানটি চুরি হয়ে যাওয়ায় না পারি দোকানে মালামাল তুলতে না পারি সন্তানদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে। একটু সহযোগিতা পেলে আমাদের পরিবারটির কষ্ট কমে যাবে।
এলাকার শিক্ষানুরাগী মো. আবদুস সামাদ বলেন,দেলু ভাই আমাদের প্রতিবেশী। তিনি শারিরীক প্রতিবন্ধী, তাকে দেখলে যে কারোর মায়া হবে। কেউ দানও করতে চাইবেন। তবে তিনি আত্ম মর্যাাদান সম্পন্ন মানুষ। তাই কষ্ট করে হলেও ব্যবসা দিয়ে পরিবার চালাচ্ছিলেন। দোকান চুরি হওয়ায় তিনি পরিবার নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন। আমরা সাধ্যমত সহযোগিতা করছি। কোন হৃদয়বান ব্যক্তি সহযোগিতার হাত বাড়ালে পরিবারটির কষ্ট কমে যাবে।

আরো পড়ুন