দৌলতপুর : নজরুল জীবনে এক প্রাণয়ময় প্রণোদনা ক্ষেত্র

ড. আলী হোসেন চৌধুরী।।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) এক বিচিত্র এবং বর্ণিল জীবনের অধিকারী। তাঁর বিচিত্র এ জীবন প্রবাহে ব্যতিক্রমী ধারার সূত্রপাত ঘটেছে তাঁর শৈশব থেকেই। শৈশবে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ার মধ্য দিয়ে সূচনা হয় তাঁর এ পথ যাত্রা। এ যাত্রপথের গন্তব্য নির্ধারিত ছিলো না তাই দেখা যায় তাঁর পূর্ব বাংলায় উপস্থিতি। পূর্ব বাংলায় তৃতীয় বারের মতো আসেন কুমিল্লা তথা দৌলতপুর (১৯২১)। কুমিল্লা জেলার দৌলতপুরে কবির জীবনে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত হয়। দৌলতপুর তাই কবির জীবনে প্রভাবক হয়ে ওঠে। আর এ প্রভাব সৃষ্টি হয় দৌলতপুরের প্রকৃতি, মানুষ, প্রেম মানুষের ভালোবাসা। কবি দৌলতপুরে ছিলেন প্রাণয়ময়তায় উদ্দীপিত। প্রাণবন্ত এক জীবন-আনন্দ। নজরুল জীবনে দৌলতপুর ভিন্ন এক প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে যা দিয়েছে তাঁকে অপূর্ব প্রণোদনা শক্তি। নজরুলের সারা জীবন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় তাঁর স্থিতি কোথাও ছিলো না। ঘুরে বেড়িয়েছেন অবিভক্ত বাংলার বহুস্থানে। কিন্তু কোথাও বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেন নি, এমন কি কোলকাতা শহরেও এক জায়গায় থাকেন নি। এর মাঝে তার প্রথম যৌবনে কুমিল্লার দৌলতপুর উপস্থিতি তাঁকে দিয়েছে নির্ভার আনন্দদোলা প্রাণ প্রাচুর্যে তিনি সে সময় নতুনরূপে উদ্ভাসিত হয়েছেন। কবিত্ব শক্তির বিকাশ ঘটেছে অবলীলায়। ফলে দৌলতপুর তাঁর জীবনে রেখাপাত করে গেছে নব সৃষ্টির উজ্জ্বল উদ্ভাসনে।
মুরাদনগর থানার দৌলতপুরেই নজরুল যেন অপরিমেয় শক্তির সন্ধান পান তাঁর আনন্দময় আত্ম-অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে। এখানকার প্রকৃতি, মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্যপট মানুষের সান্নিধ্যে তাঁকে বিপুলভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। অসম্ভব উদ্দীপনা ও চাঞ্চল্য ঘিরে রেখেছে, তাঁকে বেগবান করেছে। প্রশান্তির পরিতৃপ্তিতে আত্মহারা হয়েছেন। বলা যায় বাংলার প্রকৃত রূপ যেন তিনি এখানেই দেখেছেন। এখানেই কবি আত্মস্থ হয়েছে, বিস্তৃত হয়েছেন, ঋদ্ধ হয়েছেন, উদ্বেলিত হয়েছেন।
কবির এ ছন্নছাড়া জীবনেই পরিচয় হয় পরে ঘনিষ্ঠতা জন্মায় আলী আকবর খানের (১৮৮৯-১৯৭৭) সঙ্গে। এরা উভয়েই তখন কোলকাতায় নিখিল বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি কার্যালয়ে অবস্থান করতেন। নজরুল তখন সেনাবাহিনী থেকে ফিরে কোলকাতায় এসেছেন। আলী আকবর খান শিক্ষিত এবং সাহিত্য অনুরাগী নিজেও সাহিত্য রচনা করেন পাঠ্য পুস্তকের প্রয়োজনে। তিনি পাঠ্য পুস্তকের ব্যবসা করতেন। একদিন আলী আকবর খানের সামনেই ‘লিচু চোর’ কবিতাটি লিখে ফেলেন তাৎক্ষণিক। আলী আকবর খান বুঝতে পারেন নজরুলের অসামান্য প্রতিভা। তিনি মুগ্ধ হন কবির প্রতি। নজরুল তখনও কবিতা লিখেন কিন্তু কবি হিসেবে তেমন বিশেষ পরিচিত বা খ্যাতি পান নি। আলী আকবর ও নজরুল পারস্পরিক বন্ধুত্ব আরো সহজ হয়ে যায়।
নজরুল আলী আকবর খানের আমন্ত্রণে একদিন তাঁর সঙ্গে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। কুমিল্লা শহরে আলী আকবর খানের বন্ধু বীরেন সেনের (প্রমীলার কাকাতো ভাই) বাড়িতে কয়েকদিন অবস্থানের পর দৌলতপুরে আসেন নৌকা করে। এখানে উল্লেখ্য নৌকা ঘাটেই গ্রামের লোকজন নজরুলকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলো আনুষ্ঠানিক ভাবে। এভাবেই এক অকৃত্রিম ভালোবাসার ক্ষেত্র সূচনা হয় নজরুল জীবনে। দৌলতপুর নজরুল জীবনের সেই লগ্নে প্রফুল্লচিত্তের অনাবিল আনন্দের প্রাণময় প্রণোদনা। এখানে দিগন্তজুড়ে মাঠ, অবারিত সবুজ, দিলখোলা মানুষের সান্নিধ্য ও নব নব বন্ধুত্ব কবিকে নব উদ্দীপনার উজ্জীবিত করে। দৌলতপুর গ্রাম খালবিল নদীনালা, অনুপম নিসর্গ আর মানুষের ভালোবাসা কবির জীবনে বাঙময় হয়ে ওঠে। কোলকাতার জীবনে থাকার নিশ্চয়তা, খাবার নিশ্চয়তা ছিলো না উৎকণ্ঠিত জীবন থেকে এখানে পাওয়া গেল সেই নিশ্চয়তা আর চিন্তাহীন জীবন ধারা, কুলপ্লাবী দ্বিধাহীন সৃষ্টির প্র¯্রবণ সব মিলিয়ে কবি এখানে চিত্ত চঞ্চল আনন্দময় যুবক, রূপেই প্রতিভাত হয়েছেন।
নজরুল এর আগে শৈশবে প্রথম এসেছিলেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল পরে যুবক বয়সে বরিশাল ভ্রমণের পর পূর্ববঙ্গে তৃতীয়বারের মতো আসেন কুমিল্লায়। সুতরাং দৌলতপুরের প্রকৃতি ও মানুষ কবি মনকে দোলা দেব স্বাভাবিক। উল্লিখিত দুটি স্থানে বাংলার রূপ পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধি করা সম্ভব হয় নি প্রথমবার নিতান্ত কিশোর জীবন। বরিশালেও স্বল্প সময় মাত্র দুদিন অবস্থান করে সেভাবে বাংলার রূপ দর্শন হয় নি। কুমিল্লার দৌলতপুরে দীর্ঘ দুই মাসের বেশি অবস্থান যুবক কবির মন উদ্বেলিত হয় প্রাণবন্যার ছোঁয়া লাগে মানুষের ভালোবাসার সাথে সাথে এক মানবীকে ভালোবাসায় তাঁর হৃদয় উন্মেচিত হয় রোমান্টিক বৈভবে। আলী আকবর খানের বোনের মেয়ে সৈয়দা খাতুনের সঙ্গে গড়ে ওঠে প্রেমের বন্ধন। সবকিছু মিলিয়ে বিপুল আনন্দের সমারোহ ঘটে তরুণ কবির জীবনে।
যুদ্ধ ফেরত যুবকের মনে গ্রামের ষোড়শী সুন্দরী যুবতী সৈয়দা খাতুন কবি মনে দোলা দেবে এটাই স্বাভাবিক। কবির মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই সে সময় রোমান্টিক অনুভূতির প্রাবল্য ক্রিয়া করছিল। কবি সৈয়দা খাতুনের নাম পাল্টে রাখেন নার্গিস আসার খানম। আর এভাবে প্রণয়ের মধ্যে দিয়ে কবির সৃষ্টিরও জোয়ার শুরু হয়। কিন্তু কুমিল্লা দৌলতপুরেই নজরুলের বাংলাদেশে অবস্থান কালে ব্যাপক সৃষ্টির সূচনা হয়। এর কারণ নার্গিস। নার্গিস কবির প্রণয়নী, যৌবনের প্রথম স্বপ্ন নায়িকা, নার্গিস যেন প্রেমের পাপড়ি খুলে এসে দাঁড়ায় সম্মুখে, পাপড়ি খোলা কবিতায় তাই দেখা যায়-
‘রেশমি চুড়ির শিঞ্জিনীতে রিমঝিমিয়ে মরম-কথা
পথের মাঝের চমকে কে গো থমকে যায় ঐ শরম-নতা।।
কাঁখ চুমা তার কলসি ঠোঁটে
উল্লাসে জল উলসি, ওঠে,
অঙ্গে নিলাজ পুলক ছোটে
বায় যেন হায় নরম লতা।।
দেখা যায় আনন্দ উদ্বেলিত কবির স্বত:স্ফূর্ত প্রকাশ তাঁর কাব্যে। লিখেন ‘মানস বধূ’, এ কবিতায় মানস বধূর বর্ণনা দিয়েছেন কবি, নার্গিসই যে তাঁর মানস বধূ একথা বলা বাহুল্য। কবি এ কবিতায় নার্গিসকে একেঁছেন এভাবে-
‘ছাঁচি পানের কচি পাতা প্রজাপতির ডানার ছোঁয়ায়
ঠোঁট দুটি তার কাঁপল আকুল একটি চুমায় এমনি নোয়ায়।।
জল– ছল-ছল উড়ু-উড়ু চঞ্চল তার আঁখির তারা,
কখন বুঝি দেবে ফাঁকি সুদূর পথিক পাখির পারা,
ভালোবাসার উচ্ছ্বাস কবিকে উচ্ছ্বসিত করে তোলে, নার্গিসকে নিয়ে এমনি কবিতা ‘ফুলকুঁড়ি’। এ কবিতায় কবির যেন লাজ ভেঙ্গে গেছে। প্রণয়িনীকে ছুঁড়ি বলে ডাকতেও দ্বিধা নেই। ভালোবাসার প্রকাশে ও রাখঢাক নেই। আছে মিষ্টি অভিমান ফুলকুঁড়ি কবিতায় সেই অভিমানই ব্যক্ত হয়েছে।
‘আর পারিনে সাধতে লো সই এক ফোঁটা এই ছুঁড়িকে।
ফুটবেনা যে ফোটাবে কে বললো সে ফুলকুঁড়ি কে।।
নার্গিসের সাথে কবির প্রেম গভীর থেকে গভীরতার হয়। ২২ বছরের যুবক ও ১৬ বছরের সুন্দরী যুবতী নার্গিসের ও প্রেস পরিণতির দিকে যায়, আলী আকবর খানের সমর্থনে ও উদ্যোগে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয় (৩রা আষাঢ়, ১৮ জুন ১৯২১)। বিয়েও হয়ে যায় নির্ধারিত তারিখ মতো। কিন্তু আকদ হয়ে যাবার পর আত্ম দ্বন্দ্বে বিক্ষুব্ধ নজরুল কোন এক রহস্যজনক কারণে সে রাতেই দৌলতপুর ছেড়ে কুমিল্লা চলে আসেন। তারপর আর ও মুখো হন নি কখনো। বিয়ের ১৬ বছর পর নজরুল তালাকনামায় সই করেন। তারপর নার্গিসের অন্যত্র বিয়ে হয়। নজরুলের কাব্য- গানে দীর্ঘদিন নার্গিস প্রসঙ্গটি উপস্থিত ছিলো। কবি নার্গিসকে চিঠি লিখেছিলেন, চিঠির ভাষা ও বিষয়বস্তু কবির আকুতি, নার্গিসের প্রতি ভালোবাসা অবশ্যই তা প্রণিধানযোগ্য। নার্গিসের চিঠির উত্তরে কবির প্রথম ও শেষ পত্রে লিখেছেন-
আমার অন্তর্যামী জানেন, তোমার জন্য আমার হৃদয়ে কি গভীর ক্ষত, কি অসীম বেদনা। কিন্তু সে বেদনার আগুনে আমিই পুড়েছি- তা দিয়ে তোমায় কোনদিন দগ্ধ করতে চাইনি। তুমি এই আগুনের পরশমানিক না দিলে আমি অগ্নিবীণা বাজাতে পারতাম না- আমি ধূমকেতুর বিস্ময় নিয়ে উদিত হতে পারতাম না। তোমার যে কল্যাণ-রূপ আমি আমার কিশোর বয়সে প্রথমে দেখেছিলাম, সে রূপ আজও স্বর্গের পারিজাত-মন্দারের মত চির-অম্লান হয়েই আছে আমার বক্ষে। অন্তরের আগুন বাইরের সে ফুলহারকে স্পর্শ করতে পারেনি।
নার্গিসের একটি চিঠির উত্তরে একটি গান পাঠিয়েছিলেন- “যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পারো নাই কেন মনে রাখ তারে” গানটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয় পরে।
কবির জীবনে নার্গিস এক অচ্ছেদ্য অধ্যায়। নার্গিস নজরুল জীবনে দ্যুতি ছড়িয়েছেন।
কবির সাথে সদ্য গড়ে ওঠে গ্রামের সাধারণ মানুষের। তিনি দৌলতপুর অবস্থানকালে ঘুরে বেড়াতেন গ্রাম-গ্রামান্তর, মিশতেন সাধারণ মানুষের সাথে। প্রতিদিন বিকেলে খাঁ বাড়ির মাঠে যুদ্ধের বাজনার তালে তালে হাতপা সঞ্চালন করে ছেলেমেয়েদের শরীর চর্চা ও কসরৎ শেখাতেন। কয়েকটি মেয়েকে নাচও শিখিয়েছেন। পুকুর ঘাটে বাঁশি বাজাতেন। প্রায় প্রতিদিনই কবির গান শুনতে মানুষ জড়ো হতো পুকুর পাড়ে। পুকুরে সাঁতার কাটতেন ঘন্টার পর ঘন্টা। যাদের সাথে বিশেষ হৃদ্যতা গড়ে ওঠে তারা হলেন গ্রাম্য গায়ক জনার্দন দত্ত, সাদত আলী মাস্টার, জলধর মাস্টার, জমির উদ্দিন ওরফে গাবুদ্দিন। ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে বাঙ্গরার জমিদার রায় সাহেব রূপেন্দ্রলোচনা মজুমদার, বাঙ্গরা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অবনী মোহন মজুমদার, মুন্সী আবদুল জব্বার প্রমুখের সাথে। ইতোমধ্যেই কবি দৌলতপুরের খাঁ বাড়ি, মুন্সী বাড়ি তথা গ্রামের মানুষের মন জয় করে সবার প্রিয় হয়ে ওঠেন।
দৌলতপুরে অবস্থানকালে কবির ২৯টি গান ও কবিতার সন্ধান পাওয়া যায়। দৌলতপুরের বাইরে এসেও আরো অনেক কবিতা ও গান লিখেছেন তা স্পষ্ট। দৌলতপুরে অবস্থানকালে আরো অনেক কবিতা ও গানের দাবি থাকলেও তা নিঃশংসয়িত হওয়া যায়না। নজরুল জীবনে প্রথম অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন দৌলতপুরে। তাঁর প্রথম আগমনের দিন তার সম্মানে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছিলো। দৌলতপুর স্কুলে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তাঁকে প্রধান অতিথি করা হয়েছিলো। সে অনুষ্ঠানে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তাঁর লেখা ‘মুকুলের উদ্বোধন’ কবিতাটি পাঠ করেন। শিক্ষামূলক এ কবিতার দুটি চরণ-
‘বীণাপানির সুর-মহলের কোন দুয়ার আজ খুললোরে,
কোন সুখে আজ মন আমাদের দোদুল-দোলায় দুললো রে।
দেখা যায় দৌলতপুরই প্রথম নজরুলকে সম্মান দিয়েছে। সেই সাথে মানুষের ভালোবাসা। অন্যান্য বিষয়ও কবিকে আকৃষ্ট করেছে। দৌলতপুরে শিশু মনোরঞ্জনমূলক কবিতা খোকার বুদ্ধি’
‘চুপ করে মুখ প্রাচীর পরে বসে শ্রীযুত খোকা
কেননা তার মা বলেছেন সে এক নীরেট বোকা’-
এভাবে কবি ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় এঁকেছেন প্রকৃতির মনোরম দৃশ্যপট অপূর্ব চিত্রকল্প
“গুল্মে পর্ণে
লতিকার কর্ণে
চল চল স্বর্ণে
ঝলমল দোলো-দুল
ঝিঙে ফুল”
প্রকৃতি যেন অপরূপ সাজে সেজে ওঠেছে ‘লাল নটের ক্ষেতে’, তেমনি ‘সবুজ শোভার ঢেউ খেলে যায়, নার্গিসের বড় ভাই মুন্সী আবদুল জব্বারের বিয়েতে লিখেছেন ‘লাল সালাম’। দৌলতপুরে নজরুলের একটি সৃজনধারা প্রবাহিত হয়েছিলো।
প্রেম, বিয়ে, প্রকৃতি, নৈসর্গিক প্রেক্ষাপট, মানবীয় কোলাহল মানুষের ভালোবাসা, প্রথম প্রাপ্ত সম্মান কবিকে আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মশক্তির উন্মোচনে বিপুলভাবে কাজ করেছিলো। কবির জীবনে নার্গিস দ্যুতি ও কম নয়। তাই নজরুল জীবনে দৌলতপুর একটি অনিবার্য উজ্জ্বল অধ্যায়। তাঁর আগামীর বৃহত্তর ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হওয়ার যেন প্রস্তুতির প্রথম পর্ব এ দৌলতপুর।
লেখক: নজরুল গবেষক ও শিক্ষাবিদ।