ধর্ষণের চেষ্টায় ভর্ৎসনা করায় শিশু মিমকে খুন

 

অফিস রিপোর্টার।।

ধর্ষণের চেষ্টায় ভর্ৎসনা করায় ছয় মাস পর শিশু মিমকে খুন করা হয়। মিম কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা গ্রামের শরীফ উদ্দিনের মেয়ে। এই তথ্য জানান মিমের চাচা মো.বশির। এদিকে ভারেল্লা গ্রামে মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশু মিমের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামি হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। রবিবার কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ আমলী-২ আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানার আদালতে আসামিদের হাজির করলে এই জবানবন্দি দেয় তারা। আসামিদের কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক।

শনিবার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশু মিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় মাদ্রাসার দপ্তরি একই এলাকার আবদুল মবিনের ছেলে মো. কাইয়ুম (১৬) ও পাশর্^বর্তী উচ্চ বিদ্যায়ের ঝাড়ু–দার ময়নাল হোসেনকে (৩২) আটক করা হয়। শনিবার রাতে শিশুটির মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মেয়ের চাচা মো. বশির জানান,খুনের ৬মাস আগে মিমকে নিজের ঘরে আটকে ধর্ষণের চেষ্টা করে কাইয়ুম। সে সময় তার কান্নায় মানুষ এসে মিমকে উদ্ধার করে। মিমকে আটকের ঘটনায় সালিশ করে কাইয়ুমকে ভর্ৎসনা করা হয়। সেই প্রতিশোধে কাইয়ুম মিমকে হত্যা করে। এছাড়া ময়নালের নিকট আমার বাবা টাকা পেতো। সে নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। কাইয়ুমের পরিবার আজও আমাদের মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়েছে।

দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আবদুল্লা আল মামুন জানান, শিশুটিকে হত্যার পূর্বে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য আলামত ও ডিএনএ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই আসামি হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বাড়ির অদূরে মোবাইল কার্ডের জন্য বাজারে গিয়ে নিখোঁজ হয় ওই এলাকার শরীফ উদ্দিনের মেয়ে মিম আক্তার (৭)। পরদিন শিশুটির চাচা মো. বশির বুড়িচং থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে।