নগরীতে বই বাঁধাইয়ে সাজেদা বেগমদের ব্যস্ততা

সাইফুল ইসলাম সুমন।।
বছরের শুরুতে কুমিল্লায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বই বাঁধাইয়ের কারিগর সাজেদা বেগমসহ অন্যান্যরা। সারা বছর তেমন ব্যস্ততা না থাকলেও জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে তা বাড়ে।
সূত্রমতে,সরকার বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন। সে বই যতœ করে রাখতে ও বই যেন ছিঁড়ে না যায় সেজন্য বই বাঁধার দোকানে এসে ভিড় করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এতে করে দম ফেলারও সুযোগ পাচ্ছেন না কারিগররা।
কুমিল্লা নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় বইয়ের স্তূপ দেয়া কয়েকটি অস্থায়ী দোকান রয়েছে। এখানে এসে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নতুন বই বাঁধাই করতে আসেন। স্কুলের প্রতি বই ২০-২৫ টাকা ধরে বাঁধাই করা হয়।
বই বাঁধাইয়ের দোকানে দেখা যায়, সুঁচ, সুতা ও ভ্রমর দিয়ে নিখুঁত হাতে বই সেলাই করছেন কারিগররা। আঠা লাগিয়ে কাভার মুড়িয়ে বই বাঁধাই করে গ্রাহকের হাতে তুলে দেন তারা।
কুমিল্লা নগরীতে বছরের অন্যান্য সময় থেকে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে বই বাঁধাই করে বাড়তি আয় করতে পারেন বাঁধাইকারকরা।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সামিরা আক্তার মিম বলেন, আমরা বই বাঁধাই করি যেন সহজে ছিঁড়ে না যায়। আমরা রেগুলার ক্লাস করি। বাঁধাই করে রাখলে বই পড়তেও সুবিধা হয়।
অভিভাবকরা জানান, শিশুরা বই তেমন যতœ করতে জানে না। তাই বই বাঁধাই করে নিই যেন বইগুলো ছিঁড়ে না যায়।
সাজেদা বুক বাইন্ডিংয়ের মালিক সাজেদা বেগম বলেন, আমি এখানে ৩ দশক ধরে বই বাঁধাইয়ের কাজ করি। স্কুলের বই, অফিস আদালতের রেজিস্ট্রার, ব্যাংকের হিসাবের খাতা বাঁধাই করি। আমাদের সারা বছর তেমন কোন ভিড় না থাকলেও বছরের শুরুতে অনেক ভিড় থাকে। স্কুলের বাচ্চারা তাদের নতুন বই বাঁধাই করতে আনে, ভাই, মেয়ে ও পুত্রবধূ এসময়ে বই বাঁধাইয়ের কাজ করি। আমরা প্রতি বই ২০-২৫ টাকা দরে বাঁধাই করি।
মুকসুদ বুক বাইন্ডিংয়ের মালিক মো. মুকসুদুর রহমান বলেন, আমি ৭/৮ বছর ধরে বই বাঁধাইয়ের কাজ করছি। কোরআন শরীফ, অফিস আদালতের রেজিস্ট্রার ও প্রতিবেদন বইসহ বিভিন্ন কাগজ পত্রাদি বাঁধাই করি। এতে করে যে পরিমাণ রোজগার হয় তাতে পরিবার কোন রকম চলে যেতে পারে।