নগরীতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

আমোদ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা নগরীতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে শাহ জিলানী সুজন (৩৮) নামের এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে উঠেছে। নিহত শাহ জিলানী সুজন দক্ষিণ ঠাকুরপাড়া এলাকার মৃত আবদুল মতিনের ছেলে। নিহতের পরিবার বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার নগরীর ঠাকুরপাড়া এলাকায় মানবন্ধন করেছে। এ সময় সুজনের মা নার্গিস বেগম ও পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এদিকে এ ঘটনায় সুজনের মা নগরীর টমছমব্রিজ এলাকার দুই ব্যবসায়ী দুই ভাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহতের বোন লায়লা পারভীন বলেন, তার ভাই শাহ জিলানী সুজনকে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে টমছমব্রিজ এলাকার ব্যবসায়ী মহিবুবুুর রহমান রিপন নামে তাদের এক আত্মীয় বাসা থেকে ডেকে নেয়। পারিবারিক পূর্ব বিরোধের জের ধরে ওই রাতে নগরীর টমছমব্রিজ এলাকায় একটি নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবনে সুজনকে আটকে রেখে হাত, পা, বুকে ও মাথায় এলোপাতাড়ি রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুজন গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে মারা যান।
নিহতের মা নার্গিস বেগম বলেন, ছেলে মারা যাওয়ার পর আমি এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নেয়নি। পরে গত বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১ নম্বর আমলি আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছি। মামলায় মহিবুবুর রহমান রিপন, তার ভাই মোফাজ্জল হোসেন ছোটন ও নগরীর মহিলা কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা আনিসুল হক সাইফুলকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই-কুমিল্লাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্যবসায়ী মহিবুবুর রহমান রিপন বলেন, সুজন চুরি করতে গেলে লেবাররা তাকে ধরে ফেলে। তখন সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে সিড়ি থেকে পড়ে আহত হয়। মানবিক কারণে ঢাকা ও কুমিল্লায় তার চিকিৎসার সকল খরচ বহন করি।

পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশনা এখনো পাইনি। মামলা ও আদেশের কপি হাতে পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।