নগরীতে লাঙ্গল জোয়ালের জাদুঘর

সাইফুল সুমন পাটোয়ারী।।
বর্তমানে বেশির ভাগ শিশুই জানে না মাছ ধরার চাঁই, হাল দেয়ার লাঙ্গল, ঢেঁকি কিংবা হারিকেনের নাম। শিশুদের জানান দিতেই মূলত কুমিল্লা জাদুঘরটি স্থাপন করা হয়। সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় কুমিল্লা শিশু উদ্যানে স্থাপন করা হয় কুমিল্লা জাদুঘর।
গ্রাম বাংলার মানুষ শত শত বছর ধরে ব্যবহার করে আসছে বিভিন্ন জিনিসপত্র । তা কালক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে। সেই ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা হয়েছে এই জাদুঘরে।
জাদুঘরে গিয়ে নিজের শৈশবের সামগ্রী দেখে বড়রা স্মৃতিতাড়িত হন। ছোটরা তার অতীত ঐতিহ্য দেখে সমৃদ্ধ হচ্ছেন।
জাদুঘরটি কুমিল্লা নগরীর শিশু উদ্যানে স্থাপন করেছেন কুমিল্লা জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষক নাজমুল আবেদীন। এতে ২ হাজারের বেশি দুর্লভ জিনিসপত্র সংরক্ষণ করে সাজিয়ে রেখেছেন তিনি।
জাদুঘরটিতে রয়েছে, ২৫০ রকমের পুরনো তালা, ১০০ দেশের মুদ্রা, ৩২ কেজি ওজনের প্রাচীন ফ্যান। রয়েছে কয়েক ধরনের ক্যামেরা, টেপরেকর্ডার, প্রাচীন রেডিও, টেলিভিশন ও টেলিফোন। ঢেকি, মাছ ধরার চাঁই, হাল-চাষের লাঙ্গল, হারিকেন, লাউয়ের ডুগডুগি, হুকাও রয়েছে সেখানে। প্রাচীন যুগে শ্রমিকদের ব্যবহৃত লোহায় তৈরি বিভিন্ন যন্ত্রপাতিও আছে এখানে। জাদুঘরটিতে বিভিন্ন প্রাণীর হাড়, পিতলের হাড়িসহ প্রাচীন আমলের ইতিহাস ঐতিহ্যের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
জাদুঘরে ১০ টাকা শুভেচ্ছা মূল্যে দর্শনার্থীরা এসব জিনিসপত্র দেখতে পারেন ও সে সম্পর্কে জানতে পারেন। সপ্তাহে ছুটির দিনে জাদুঘরে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। বেশিরভাগ অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ৯০ দশকের পূর্বে ব্যবহৃত জিনিসপত্র পরিচয় করিয়ে দেন। দুর্লভ এসব জিনিসপত্র দেখে মুগ্ধ হন দর্শনার্থীরা।
ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন সরঞ্জামাদি সংরক্ষণ করে রাখতেন স্কুল শিক্ষক নাজমুল আবেদীন। বিভিন্ন সরঞ্জামাদি সংরক্ষণ করতে করতে প্রায় ২ হাজারেরও বেশি জিনিসপত্র জমা হয়।
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যেহেতু কোন জাদুঘর নেই সেহেতু কক্সবাজার ও পাশের জেলা চাঁদপুরেও জাদুঘর স্থাপন করতে চান তিনি।