নগরীর পথে পথে বেষ্টনিবিহীন ভবন
কুমিল্লা নগরীর বাসিন্দারা ভুগছেন নির্মাণাধীন ভবন আতঙ্কে। নিরাপত্তা বেষ্টনিবিহীন নির্মাণাধীন ভবন গুলোর নিচ দিয়ে যেতেই সবার মনেই শঙ্কা এই না জানি ওপর থেকে ভবনের উপকরণ মাথায় পড়ে। এসব ভবনের নিচের রাস্তা দিয়ে চলার সময় অনেককেই দেখা গেলো মাথায় হাত দিয়ে রাস্তা পার হতে। অনেকে ভবনগুলোর সামনের পথই মাড়াচ্ছেন না। এনিয়ে গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক আমোদ একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়, নগরীতে প্রায় পাঁচশ’ ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। এসব ভবনের মাত্র এক থেকে দেড়শটিতে রয়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনি। এই বেষ্টনিও নামেমাত্র। বাকিগুলোতে তাও নেই। নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে। নির্মাণাধীন ভবনের সামনের সড়ক দখল করে মালিকরা রাখছেন ইট, পাথর, বালি ও রড। এতে পথচারীরাও চলাচল করতে পারছেন না স্বাচ্ছন্দ্যে। নিরাপত্তা বেষ্টনি না থাকায় ভবনগুলোর ওপর থেকে বিভিন্ন সময় ইট, কাঠ, পাথর ও রড পড়ছে নিচে। বেশ কয়েকদিন পূর্বে ঠাকুরপাড়া বাগানবাড়ি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার মাথায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে কাঠ পড়ে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেন ভবন মালিক। ঘটনার পরদিন ভবনের এক পাশে নিরাপত্তা বেষ্টনি দিলেও অন্য পাশ ফাঁকা রেখেই নির্মাণকাজ চালিয়ে যান তিনি।
নগরীর নজরুল এভিনিউ এলাকার মো. হাসান বলেন, এসব ভবন দেখলে ওই রাস্তাতেই হাঁটি না। তবুও ঘর থেকে বের হলে শুধু আতঙ্ক থাকি কখন জানি কি পড়ে মাথায়। সিটি করপোরেশনের প্রতি অনুরোধ- একটা ব্যবস্থা নিয়ে মানুষগুলোকে বাঁচান।
ঠাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মেহবুবা ইসলাম বলেন, কলেজে যাওয়ার পথে এমন দুই ভবন রয়েছে। তাছাড়া টিউশন করাতে যাই কান্দিরপাড় দিয়ে। জনবহুল এই সড়কটির পাশেও নিরাপত্তা বেষ্টনি নেই। একটু নজর না দিলে কখন যে কার মাথায় পড়ে এগুলা কে জানে!
ভবন নির্মাণকারীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন কুমিল্লার সভাপতি আতিকুল্লাহ খোকন বলেন, নিরাপত্তা বেষ্টনি ছাড়া নির্মাণ কাজ করা উচিৎ নয়। এতে ঝুঁকি থাকে। সবার প্রতি আহবান যেন নিরাপত্তা বেষ্টনি ব্যবহার করে।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে,কুমিল্লা নগরীর বাসিন্দারা ভুগছেন নির্মাণাধীন ভবন আতঙ্কে। নিরাপত্তা বেষ্টনি ছাড়া নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। এতে ঝুঁকি বাড়ছে। আমরা প্রশাসনসহ সবার প্রতি আহবান জানাই, যেন ভবন নির্মাণে নিরাপত্তা বেষ্টনি ব্যবহার করা হয়। মানুষ যেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। যারা বিষয়টি গুরুত্ব না দেয় তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।