নতুন সাজে কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্র গুলো
মহিউদ্দিন মোল্লা ।।
দর্শনার্থীর অপেক্ষায় রয়েছে কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্র গুলো। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে অর্ধ ডজন বিনোদন কেন্দ্র সেজেছে নতুন সাজে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর, নব শালবন বিহার, ম্যাজিক প্যারাডাইস,ব্লু ওয়াটার পার্ক,ডাইনো পার্ক। এগুলো কোটবাড়ি লালমাই পাহাড় সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত। লালমাই বাজার সংলগ্ন স্থানে রয়েছে লালমাই লেকল্যান্ড। নগরীর ডুলিপাড়ায় রয়েছে ফান ডাউন।
বিনোদন কেন্দ্র গুলো ঘুরে দেখা গেছে, কেউ ভাঙা রাইড মেরামত করছে। কেউ রঙের কাজ করছে। চলছে ধোয়া মোছার কাজ। সবার টার্গেট দর্শনার্থী আকর্ষণ করা।
সূত্রমতে, নগরী থেকে ৮কিলোমিটার দূরে শালবন বৌদ্ধ বিহার। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে দুই কিলোটার দূরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এখানে বিভিন্ন উৎসব ও শীতে দর্শনার্থীর ভিড় থাকে। নিকটবর্তী স্থানে কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে। তবে আবাসিক ব্যবস্থা গড়ে উঠলে আরো দর্শনার্থী বাড়বে। শালবন বিহারের পরে রয়েছে কোটিলা মুড়া,রুপবান মুড়া। বেসরকারি পার্ক গুলোর মধ্যে বেশি রাইড রয়েছে ম্যাজিক প্যারাডাইসে।
মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী সংসদের সভাপতি ডা. গোলাম শাহজাহান বলেন, বিনোদনের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কুমিল্লায় বেশ কিছু বেসরকারি পার্ক গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে কিছু পার্ক মান সম্পন্ন। একদিনের জন্য এখানে ঘুরতে আসা যেতে পারে। শহরে সম্প্রতি থাকার ভালো কিছু আবাসিক হোটেলও গড়ে উঠেছে। রাইডের মূল্য আরো কম হলে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার তার সন্তানদের নিয়ে যেতে পারবে।
ম্যাজিক প্যারাডাইসের চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম বলেন, করোনার সময় কিছু রাইডস ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখন ১৮টি রাইড রয়েছে সবার জন্য। কিডস জোনে রয়েছে ৩২টি রাইডস। এছাড়া ওয়াটার ওয়ার্ল্ড। ডাইনোসর জোনসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় আয়োজন রয়েছে। আশা করছি ঈদে ভালো দর্শনার্থী আসবে।
শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান হাসিবুল হাসান সুমি বলেন, ঈদের দিন আমাদের বন্ধ থাকবে। পরের দিন থেকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আশা করছি অন্য ঈদের মতো এবারও ভালো দর্শনার্থীর সমাগম হবে।