নাসিরনগরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
চলন্ত পথে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় খাদে। মুমূর্ষু অবস্থায় আরোহী দুই ছাত্রলীগ নেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বিল্লাল খন্দকার (২২) এবং উন্নত চিকিৎসার্থে ঢাকায় পাঠানো হয় তমাল মিয়াকে (৩০)। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা এলাকার।
মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে ময়না তদন্তের পর নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয় স্বজনদের কাছে। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত পৌণে একটায় মারা যায় বিল্লাল এবং রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের তিলপাড়া এলাকায় ঘটে এই দুর্ঘটনা। নিহত বিল্লাল খন্দকার উপজেলা সদরের মো. ইউসুফ খন্দকারের পুত্র এবং সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন।
নিহতের পরিবার, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে উপজেলা সদর থেকে নাসিরনগর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তমাল মিয়াকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে তিলপাড়ায় যাচ্ছিলেন বিল্লাল। তিলপাড়ার কাছাকাছি একটি মোড় অতিক্রম করাকালে তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। ঘটনা দেখে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা বেগতিক দেখে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর রাত পৌনে একটার দিকে বিল্লাল খন্দকারকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত তমালকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের পর নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয় স্বজনদের কাছে।
নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আ. স.ম. আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘মরদেহের ময়না তদন্তের পর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।’