নেউরা পশুর হাট;  সড়ক থেকে মাঠে স্থানান্তরের দাবি

 

দুর্ভোগে পড়েন ১১টি গ্রামের বাসিন্দা ও ইপিজেডে কর্মরত কয়েক হাজার কর্মী

আবু সুফিয়ান রাসেল।।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, সড়কে কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না। সরকারি নিষেধ অমান্য করে প্রতি বছর ঢুুলিপাড়া-নেউরা সড়কে বসে গরু বাজার। কুমিল্লার সর্ববৃহৎ পশুর হাটটি এক কিলো মিটারেরও বেশি সড়ক দখল করে রাখে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন ১১টি গ্রামের বাসিন্দা ও ইপিজেডে কর্মরত কয়েক হাজার কর্মী। স্থানীয়দের দীর্ঘ দিনের দাবি পশুর হাটটি সড়ক সংলগ্ন পুরাতন বিমান বন্দর মাঠে স্থানান্তর করা হোক।

স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লা দক্ষিণ সিটির মানুষের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, রাজগঞ্জ, কান্দিরপাড়, চকবাজার, টমছমব্রিজ, শহরের সকল স্কুল-কলেজে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক ঢুলিপাড়া নেউরা হয়ে দিশাবন্দ সড়ক। এ সড়কে ঢুলিপাড়া, নেউরা, রসূলপুর, সৈয়দপুর, নোয়াপাড়া, রাজাপাড়া, দিশাবন্দ, লক্ষীনগর, কাজীপাড়া, আবাসন প্রকল্প, লইপুরা গ্রামের মানুষের শহরে প্রবেশের পথ।
এছাড়া দক্ষিণ কুমিল্লার সঙ্গে নগরী ও আদর্শ সদর উপজেলা থেকে সদর দক্ষিণে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাও নেউরা সড়ক। কোরবানির পূর্বে ধারাবাহিক ভাবে এ সড়কে গরু বাজার চলে কয়েকদিন। এতে মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যায়।

ইপিজেড কর্মী লায়লা পারভীন জানান, রাজাপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকি। বাসা থেকে ইপিজেড পকেট গেট আসতে পাঁচ টাকা ভাড়া লাগে। যখন এখানে গরু বাজার থাকে তখন দিশাবন্দ-উনাইশার হয়ে ২নং গেটে বা দিশাবন্দ-কাজীপাড়া-জাঙ্গালিয়া, টমছমব্রিজ হয়ে ১নং গেটে আসতে হয়। দেখা যায় তখন ভাড়া ৩০ টাকা চলে যায়, অনেক সময় লস হয়।

দিশাবন্দ গ্রামের বাসিন্দা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, সড়কে গরু বাজারের কারণে সকল মানুষের কষ্ট হয়। গরু বাজারের বর্জ্য কোরবানির ৮/১০ দিন পরও সড়কে দেখা যায়। মানুষের চলাচলে সমস্যা হয়। ঢুলিপাড়া-নেউরা সড়ক থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে পুরাতন বিমান বন্দর সড়ক আছে। বিশাল খালি মাঠে পশুর হাট বসতে পারে। এখানে যাতায়াতের সড়কও ভালো। ক্রেতাও বেশি হবে।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাকির হোসেন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে বাজার হওয়ার কারণে মানুষের অনেক কষ্ট হয়। বিষয়টি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনকে জানিয়েছি। পরামর্শ দিয়েছি, গরু বাজার থেকে আধা কিলো দক্ষিণে পুরাতন বিমান বন্দর মাঠ খালি। এখানে বাজারটা করলে আরো জমজমাট হবে। মানুষও কষ্ট থেকে বাঁচবে।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ বলেন, বাজারটি আমার উপজেলার না। এটি সেনাবাহিনী দেখাশোনা করে। এ বিষয়ে তারা ভালো বলতে পারবে।

এ বিষয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, স্কুল ও রাস্তায় পশুর হাঁট বসানো সরকারি নিয়মের বিপরীত। সবার আন্তরিকতায় একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পাওে, যা সবার জন্য কল্যাণ হবে। এ বছর কোরবানির পশুর হাট বসার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা করবো।