নৌযান শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে আশুগঞ্জে ধর্মঘট

ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
নৌযান শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদীবন্দরে কর্মরত শ্রমিকরা। রোববার (১১জুন) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শ্রমিকদের এই কর্মবিরতি শুরুর কারণে আশুগঞ্জ নদীবন্দরে আটকা পড়েছে বিভিন্ন পণ্য বহনকারী অর্ধশতাধিক কার্গো জাহাজ। বন্ধ রয়েছে কার্গো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস। এতে করে স্থবির হয়ে পড়েছে এই বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার মাস্টার জানান, শনিবার (১০ জুন) কার্গো জাহাজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নেতৃবৃন্দ আশুগঞ্জ  ও ভৈরব নৌ-বন্দরে আসেন। এ সময় মালিকপক্ষের লোকজন কোনো কারণ ছাড়াই তীরে নোঙরে থাকা এমভি শাহানামা শেখসহ মোট ১৮টি জাহাজে পণ্য খালাস কাজে কর্মরত শ্রমিকদের মারধর করে। শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে রোববার থেকেই আমরা অনির্দিষ্টকালের  ধর্মঘট পালন করছি। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে আমরা কাজে যোগ দিব না। আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের কো-কনভেনার নাজমুল হোসাইন হামদু জানান, ‘নৌ-যানের পণ্য পরিবহনের নিয়ম না মেনে চট্রগ্রাম থেকে সিরিয়াল না নিয়ে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে জাহাজগুলো আশুগঞ্জ বন্দরে আসে। বিষয়টি বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের পক্ষ থেকে আশুগঞ্জ ও ভৈরব নদীবন্দরে জাহাজে তদারকি করা হচ্ছিলো। এসময় জাহাজে থাকা শ্রমিকদের কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। তখন তারা কাগজপত্র দেখাননি। সিরিয়ালের কাগজপত্র না দেখানো নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তাদের কাউকে মারধর করা হয়নি। মারধর করার অভিযোগ সত্য নয়।’
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ নদী বন্দরে নৌপথে সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে প্রতিদিন অর্ধশত জাহাজ নোঙ্গর করে। এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। এই বন্দরে প্রতিদিন অন্তত পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করে।