পরিবহন খরচ বাড়ায় দাম বেশি খুচরা বাজারে

বুড়িচং উপজেলার নিমসার সবজি বাজার

অফিস রিপোর্টার ।।
ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজারের ৫শতাধিক আড়তদার। খুচরা ক্রেতা কম আসায় ফল ও কাঁচা সবজি নিয়ে তারা শঙ্কায় রয়েছেন। কারফিউ ও পরিবহন ভাড়া বাড়ায় ৩০ভাগ ক্রেতা কমেছে বলে তারা জানান। সোমবার সকালে কুমিল্লা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় কাঁচা বাজারে গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া নিমসার বাজার। ফজরের আগেই বেচা বিক্রি শুরু হয়। লটকন,ড্রাগন,পেয়ারা,আমড়া,আম থরে থরে সাজানো। লাউ, কুমড়া,মরিচসহ বিভিন্ন সবজি বস্তায় পড়ে আছে। তেমন ক্রেতা নেই। কেউ পণ্যের দরদাম করছেন। দামে মিললে টাকা গুণে দিচ্ছেন। কেউ বস্তায় ভরছেন। কেউ নিজে বা শ্রমিকের সাহায্যে মহাসড়কের পাশে রাখা পিকআপ ভ্যানে বস্তা তুলছেন। বিক্রেতা,ক্রেতা ও শ্রমিকদের হাঁকডাকে মুখর চারপাশ। তবে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় ক্রেতা অনেক কম। অন্যদিন এই সময় মহাসড়কে যানজট চোখে পড়েেতা। আজ ক্রেতার গাড়ি কম ও মহাসড়কের গাড়ি না থাকায় যানজট নেই।


কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আসমানিয়া বাজারের ব্যবসায়ী রিপন সরকার। তারা ৫জন খুচরা বিক্রেতা মিলে সবজি কিনতে এসেছেন। তিনি জানান, এই বাজারের অধিকাংশ সবজি রাজশাহী,নাটোর,পাবনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসে। এছাড়া স্থানীয় কিছু সবজি বাজারে আসে। স্থানীয় সবজি তাজা হওয়ায় দাম তুলনামূলক বেশি। এখন বাজারে ক্রেতা কম তাই কাঁচা মালামালও কম কিনেছি।
কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল করিম বলেন, সহিংসতা ও কারফিউয়ের কারণে অনেক গাড়ি বের করতে চান না। এতে পরিবহনের ভাড়া বেড়ে গেছে। তাই কিছু পণ্যের দাম কমলেও আমরা খুচরা বাজারে কম বিক্রি করতে পারছি না।
মুসলিম ট্রেডার্স নামের ফলের আড়তের পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন,আড়তে ক্রেতা কম আসছে। তাই এই সময়ে ফল কম দামে ছেড়ে দিতে হচ্ছে। না হয় পঁচে যাবে।
ড্রাইভার বাণিজ্যালয়ের পরিচালক মাহে আলম বলেন,উত্তরবঙ্গ থেকে ফল আসে। সেখান থেকে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে গাড়ি আসতে চায় না। যারা আসে তাদের ভাড়া বেড়ে গেছে। আগে প্রতি ক্যারেট আমের ভাড়া পড়তো  ১২০টাকা। এখন তা ১৭০টাকায় দাঁড়িয়েছে।