দুর্ভোগে গোমতীপাড়ের ১০গ্রামের মানুষ
তিন কিলোমিটার বেহাল সড়ক
মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লা গোমতী নদীরপাড়। আদর্শ সদর ও বুড়িচং উপজেলার মধ্যবর্তী নদীরপড়ের তিন কিলোমিটার সড়ক কয়েক যুগ ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এই তিন কিলোমিটার সড়ক পড়েছে আদর্শ সদর উপজেলার কাছিয়াতলী, বুড়িচং উপজেলার ফরিজপুর ও মীরপুর এলাকায়। সড়কটি পাকাকরণ হলে দুই উপজেলার অন্তত: ১০গ্রামের মানুষের উপকৃত হবেন। এছাড়া এই এলাকা দর্শনীয় স্থান হিসেবে গুরুত্ব পেতো।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,পালপাড়া থেকে গোমতী নদীর দক্ষিণ পাড় দিয়ে একটি সড়ক আমতলী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিলিত হয়েছে। আমতলী থেকে গোমতীর পাড় হয়ে পশ্চিম উত্তর দিকে যাওয়া সড়কটি কাঁচা। দুই পাশে গাছের সারি। গুল্প জাতীয় উদ্ভিদ তার সবুজ পেখম মেলে বসে আছে। পাড়ের সবুজ আর পাশের নদীর সৌন্দর্য যে কাউকে বিমোহিত করে। কিন্তু এই সড়কে হাঁটু সমান গর্ত। যেন ধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করা হয়েছে! প্রায় এখানে ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন পরিবহন কাদায় আটকে যায়। বৃষ্টির সময় সড়কটি খালে পরিণত হয়। এই সড়কে খালি পায়ে হাঁটা কঠিন হয়ে পড়ে। বেশি খারাপ অবস্থা কাছিয়াতলী ও ফরিজপুরের মাঝামাঝি এলাকায়। সড়কটি পাকা হলে লাভবান হবেন কাছিয়াতলী,ফরিজপুর, নিশ্চিন্তপুর, সমেশপুর, রামপাল, মুড়াপাড়া ও মীরপুর এবং নদীর অপরপাড় ভান্তিরচর ও পূর্বহুড়া গ্রামের বাসিন্দারা।
ফরিজপুরের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম,ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম সুমন ও মানিক মিয়া বলেন, কয়েক যুগ ধরে সড়কটি অবহেলায় পড়ে আছে। যেন এর কোন অভিভাবক নেই। সড়কটি পাকা হলে কয়েক ধরণের সুবিধা পাবেন এলাকাবাসী। প্রথমত: সড়কটির তিন কিলোমিটার পাকা হলে আশ-পাশের ১০গ্রামের মানুষ চলাচলে উপকৃত হবেন। দ্বিতীয়ত নাজিরা বাজার এলাকায় পরিবহনের চাপ কমাতে ও যানজট এড়াতে ছোট যানবাহন এই সড়ক হয়ে ওয়ার সিমেট্রির পাশ দিয়ে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে উঠতে পারবে। তৃতীয়ত: এই এলাকার চরের কৃষকরা সহজে সবজি বাজারে নিতে পারবেন। চতুর্থত: এলাকাটিতে নদীর বাঁক রয়েছে। এখানে অনেকে অবসর সময় কাটাতে আসেন। সড়কটি পাকা হলে এই এলাকায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে।
স্থানীয় ময়নামতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লালন হায়দার বলেন,এই সড়কটির বিষয়ে আমরা অবগত আছি। এটি প্রকল্প হিসেবে জমা দেয়া হয়েছে। অনুমোদন করানোর জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।