পাগলী খালে স্লুইচ গেইটে চার ফসলে হাসবে দুইশ’ বিঘা জমি

inside post

আমোদ প্রতিনিধি।।
পাগলী খালে স্লুইচ গেইট নির্মাণ করা হলে চার ফসলে হাসবে দুইশ’ বিঘা জমি। এছাড়া ৫০ বিঘা জমিতে বছরব্যাপী সবজি চাষ সম্ভব হবে। সীমান্তবর্তী কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পাহাড়পুরের কৃষকরা শুক্রবার বিকেলে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শনে গেলে তাদের নিকট এই দাবি জানান। পতিত জমিতে আউশ আবাদ বৃদ্ধি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার বানিন রায় কর্মকর্তাদের মাঠে প্রথমবারের মতো চাষ হওয়া ৭০ বিঘা জমির আউশের মাঠ ঘুরে দেখান। পরে কর্মকর্তারা মাঠের ব্রি ধান ৯৮ জাতের নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ দিবসে অংশগ্রহণ করেন।

আউশের জমি পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে ও কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান,ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার প্রধান ড. মো. রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর বুড়িচং উপজেলায় আউশ আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে ২১০ হেক্টর জমিতে। পতিত জমিতে আউশ আবাদ বৃদ্ধির নানা কার্যক্রম গ্রহণের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে বলে জানা যায়।

মাঠ দিবসে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন, বিএডিসি সুপারইনট্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মামুনুর রশিদ,বুড়িচং উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ছামিউল ইসলাম, উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. সাহেদ হোসেনসহ ব্রি এর বিজ্ঞানীসহ দুই শতাধিক কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, পাহাড়পুর ও বেলবাড়ি এলাকায় আড়াইশ বিঘা জমিতে মাত্র একবার ফসল হতো। এখন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহযোগিতায় কৃষকরা এই জমিতে চারটি ফসল পাচ্ছে। নিঃসন্দেহে এই এলাকার জন্য এই চার ফসল সুফল বয়ে আনবে। কৃষকদের অন্যান্য দাবি পূরণে আমরা চেষ্টা করবো। যাতে আরো বেশি জমি চাষের আওতায় আসে।

আরো পড়ুন