পাশেই পাদচারী সেতু, ঝুঁকি নিয়ে প্ল্যাটফর্ম পারাপার

তৈয়বুর রহমান সোহেল।। 
inside post
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা। কুমিল্লা রেল স্টেশন। এক ও তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে দুটি ট্রেন। একটি মালবাহী, আরেকটি যাত্রীবাহী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস। একটু পর স্টেশন প্রবেশ করে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস। ট্রেনটি থামে পশ্চিম দিকের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে। এর আগে মাইকে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন আসার খবরে যাত্রীরা হুড়মুড় করে পূর্বদিকের প্ল্যাটফর্ম থেকে পশ্চিম দিকের প্ল্যাটফর্মে আসতে থাকে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ যাত্রীকেই পাশের পাদচারী সেতু ব্যবহার করতে দেখা যায় না। জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও দুটি ট্রেন ডিঙিয়ে তার পাহাড়িকা ট্রেনের উদ্দেশ্যে ছুটে যান। সাধারণ যাত্রীরা শুধু নয়, স্টেশনে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদেরও একই কায়দায় প্ল্যাটফর্ম পার হতে দেখা যায়।
সূত্রমতে, চলমান আখাউড়া-লাকসাম রেললাইন ডাবল লাইনে সম্প্রসারণ কাজের অংশ হিসেবে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকায়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়। এর মাঝে ২০২১ সালে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনের পাদচারী সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সেতুটি নির্মাণের সময়ই রেলওয়ে কর্মরত অনেকের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। পাদচারী সেতুটি অনেক উঁচু করে নির্মাণের পাশাপাশি প্ল্যাটফর্মের মাঝামাঝি না রেখে উত্তর দিকে শেষ মাথায় স্থাপন করা হয়। যা স্টেশনের প্রবেশমুখ থেকে দূরে। তাছাড়া পাদচারী সেতু হয়ে অপর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে তিন মিনিটের মতো সময় লাগে। এছাড়া বয়স্ক যাত্রীদের পক্ষে এত উঁচু পাদচারী সেতু ব্যবহার করা কষ্টসাধ্য। যার কারণে অব্যবহৃতই থেকে যায় পাদচারী সেতুটি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনের পাদচারী সেতুটি যাত্রীরা ব্যবহার না করলেও দর্শনার্থীরা এসে আড্ডা দেন। মূলত এটা আর কোনও কাজেই আসেনি। পাদচারী সেতুটির যথাযথ ব্যবহার না থাকায় ঝুঁকির মুখে পড়ছেন যাত্রীরা। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

আরো পড়ুন