প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাড়ানোর দাবি কুমিল্লার তরুণদের

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও যুব সংগঠনের শতাধিক তরুণের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় ’আমিও জিততে চাই তারুণ্যের মেলা।’ কুমিল্লা নগরীর একটি হোটেলে শনিবার এ তারুণ্যের মেলার আয়োজন করে মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এমএএফ। এতে তরুণরা বলেন, কর্মসংস্থান বাড়াতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও সহজে ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।


মেলায় তরুণরা গুরুত্ব দিয়েছেন – কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির বিষয়ে। কর্মসংস্থান বিষয়ে তরুণদের চাওয়া হলো, আরও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সহজে ট্রেড লাইসেন্স ও অন্যান্য অনুমোদন প্রাপ্তি ও ঋণ সহায়তা। স্বাস্থ্য সেবায় সরকারি সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তারা। এছাড়া রাস্তাঘাটে চলাচলে, বিশেষ করে নারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি উঠে এসেছে বার বার। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তরুণদের আরো বেশি করে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজন বলেও মনে করেন তারা।
মেলায় তরুণদের অংশগ্রহণে মঞ্চ নাটক, বিতর্ক, কুইজ প্রতিযোগিতা ও ভিডিও বার্তা তৈরি প্রতিযোগিতাসহ ছিলো নানা আয়োজন। বিতর্কের বিষয় ছিলো-রাজনৈতিক দলের জনমুখী রাজনৈতিক চর্চা বৃদ্ধিই তরুণ প্রজন্মের রাজনীতি বিমুখতা দূর করতে পারে। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে বিজয়ী হন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।


মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জমির উদ্দিন খান জম্পি, সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সহ-সভাপতি নিখিল চন্দ্র রায়,চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আখতার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুন্নাহার দীপু, মহানগর জাতীয় মহিলা পার্টির সদস্য সচিব সোহানা আক্তার পুষ্পা ও ডেমোক্রেসি ইন্টরন্যাশনালের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার আবুল বাশার প্রমুখ।
উল্লেখ্য- “আমিও জিততে চাই” ক্যাম্পেইন রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীদারদের কাছে নাগরিকদের প্রত্যাশাসমূহকে তুলে ধরার মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।