প্রিয়া হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
মো: ওমর ফারুক, নাঙ্গলকোট
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে শামীমা আক্তার প্রিয়ার হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে দক্ষিণ শাকতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে মঙ্গলবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শাকতলী এলাকাবাসী।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাহ জালাল মানিক, সাবেক ইউপি মেম্বার আবুল কালাম, ব্যবসায়ী আবু ইউছুফ, মিজানুর রহমান, শামীমার বড় ভাই শরীফুল ইসলাম, ইউপি মেম্বার আবুল কালাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে শামীমা আক্তারের দেবর রায়হান, শাশুড়ি ফয়জুন্নেছা, ননদ মর্জিনা, জা শামছুন্নাহার ও শাহেদা বেগম পরিকল্পিতভাবে রশি বা ওড়না পেঁছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শামীমা আক্তারকে হত্যা করে। পরে মরদেহ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখেন। ঘটনার পর থেকে পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্থানীয়রা। উল্লেখ্য, গত ১৫ মাস আগে আদ্রা উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ শাকতলী গ্রামের আবদুল মতিনের মেয়ে শামীমা আক্তার প্রিয়ার সাথে উপজেলার হেসাখাল ইউপির হিয়াজোড়া বানাতুড়া গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে পারভেজের বিয়ে হয়।
নিহতের পিতা আবদুল মতিন বলেন, তার মেয়ের বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে প্রায় আড়াই লাখ টাকার আসবাবপত্র ও স্বর্ণালংকার দেন। বিয়ের কিছুদিন পর তার মেয়ের জামাই পারভেজ বিদেশে পাড়ি দেন। বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা নিয়ে পারভেজের সাথে তার মা ফয়জুন্নেছার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এনিয়ে পারভেজের মা শামিমাকে দায়ী করে। এর জের ধরে পরিবারের লোকজন শামিমাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, শাকতলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক জহিরুল কাইয়ুম, শামীমার বাবা আবদুল মতিন, নানা মাস্টার আবু তাহেরসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী। এলাকাবাসী শামীমা হত্যার বিচারের দাবিতে শাকতলী বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এবিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।