প্রেমিকার বাড়ির সামনে মৃত্যু,৩৬দিন পর লাশ উত্তোলন
অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রেমিকার বাড়ির সামনে মাঈনুদ্দিন মহিন নামের এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে ৩৬দিন পর কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। রোববার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলহাশ গ্রামের মাউদ আলীর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
সূত্র জানায়,মহিনের বোন আয়শা আক্তারের অভিযোগ তার ভাইকে প্রেমের ঘটনায় গত ১৮জুলাই রাতে প্রেমিকার বাড়িতে ডেকে নিয়ে প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা নির্মমভাবে নির্যাতনে হত্যা করে। এই অভিযোগ এনে প্রেমিকার বড় ভাই জামাল হোসেন(২১), মেহেদী হাসান(১৯), প্রেমিকা রিয়া মনি(১৮), প্রেমিকার বাবা আবুল হাসেমসহ(৫২) চারজনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে গত ২৬ জুলাই কুমিল্লা ৪ নং আমলী আদালতের চীফ-জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেটের আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত হত্যা বা আত্মহত্যার ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় কোন অপমৃত্যু বা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জকে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ থানায় কোন অপমৃত্যু বা হত্যা মামলা দায়ের হয়নি মর্মে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করলে, গত ২৯ জুলাই মহিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের পর মামলাটি নথিভূক্ত করার জন্য অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। গত ২৯ জুলাই রাতে মামলাটি দেবিদ্বার থানায় নথিভূক্ত করা হয়।
নিহতের পরিবার ও বন্ধুরা জানান, গত ১৮ জুলাই রাতে তারা দুজনই পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে মেয়েটির বাড়ির আঙ্গিনায় মিলিত হয়। পরে রাত পৌনে ১০টায় মেয়ের বড় ভাই মেহেদী হাসান মহিনের খালাতো ভাই আবু তাহেরের কাছে ফোন করে বলেন, ‘তোমার ভাই এখানে বিষ খেয়ে পড়ে আছে তাকে তুমি এসে নিয়ে যাও।
নিহতের খালাতো ভাই আবু তাহের জানান, তিনি ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পান, মহিন তার অন্ডকোষ চেপে ধরে মাটিতে পড়ে আছে। মহিনকে উদ্ধার করে রায়পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মহিনকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় তার মুখে বিষের কোনো গন্ধ পাননি বলেও তারা জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুস সালাম জানান, তদন্ত চলছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রাপ্তির পরই বলা যাবে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা।