‘ফেনসিডিল সেবনের ভিডিও প্রচার করায় আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা’


প্রতিনিধি।
জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে গলা কেটে আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হককে হত্যা করা হয়। ফেনসিডিল সেবনের ভিডিও প্রচার করায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে। রোববার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল মান্নান। এ ঘটনায় ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার করা হয়, মামলার দুই নম্বর আসামি কাজী আমান উল্লাহ, তিন নম্বর আসামি আবু সাইদ. সাত নম্বর আসামি কাজী নিজাম উদ্দিন, দশ নম্বর আসামি জাকির হোসেন। শনিবার রাতে খাগড়াছড়ির পানছড়ি থানার লৌহগং ও কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইস গিয়ার ছুরিটি জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়।


সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইউপি নির্বাচন ও মসজিদ কমিটি নিয়ে আসামিদের সাথে পূর্ব থেকেই বিরোধ ছিলো আওয়ামী লীগ নেতা এনামুলের। সর্বশেষ মামলার এক নম্বর আসামি জহিরের ফেন্সিডিল সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভিডিও ক্লিপটি নিহত এনামুলও শেয়ার করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এনামকে হত্যার পরিকল্পনা করে জহির, আমানসহ আরো কয়েকজন। শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ে বাড়ি আসার পথে সন্তানের সামনে কুপিয়ে ও জবাই করে এনামুল হককে হত্যা করে আসামিরা। নিহতের বাবা আবদুল অদুদ বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১০ জনের নামোল্লেখ ও ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) কামরান হোসেন, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি)  রাজেশ বড়ুয়া, কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আহমেদ সনজুর মোর্শেদ।