বদরকে জাতীয় দিবসে ঘোষণার দাবী

স্টাফ রিপোর্টার।।
‘বদর যুদ্ধ’ বিশেষভাবে স্মরণীয়। এ যুদ্ধে মুসলমানদের ‘চূড়ান্ত মীমাংসা’ হয়েছিল। ৩১৩ জন মুসলমানের দল তৎকালীন রণকৌশলে পারদর্শী এক হাজার অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত কাফের বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ইসলামের বিজয় ছিনিয়ে আনে। মুসলমানদের অস্ত্র মাত্র তিনটি ঘোড়া, ৭০টি উট, ছয়টি বর্ম ও আটটি তলোয়ার। আর বিজয় লাভের প্রধান উপকরণ ছিল ইমানের বল। এটি ইসলামের ইতিহাসে প্রথম যুদ্ধজয়। আমরা জাতীয় ভাবে অনেক দিবস পালন করে থাকি। ১৭ রমজান বদর দিবসকে জাতীয় দিবসে ঘোষণার দাবী জানাচ্ছি। দিবস উপলক্ষে নতুন প্রজন্ম বদর দিবস সম্পর্কে জানবে এ প্রত্যাশা করি। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) আশেকানে মাইজভান্ডারী এসোসিয়েশনের আয়োজনে বদর দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবী জানান। কুমিল্লা নগরীর ফান টাউন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বদর দিবসে নিয়ে আলোচনা করেন মাওলানা হাসানাত উল্লাহ ফারুকী মাউজভান্ডারী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস আল কাদরী, অধ্যাপক মো. মুহসীনুল হাসান, মাওলানা ইকবাল হোসেন, মাওলানা হোসাঈন আহমেদ হেলালী।  আলোচনা সভায় অতিথি ছিলেন ডা. আতোয়ার রহমান, ডা. মনছুর হেল্লাল, কাউন্সিলর জাকির হোসেন, সাবেক কমিশনার রেজাউল করিম, আলহাজ্ব কাজী হারুনুরর রশিদ, মো. জামাল উদ্দিন মিন্সি প্রমুখ।
মো. সফিকুর রহমান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আশেকানে মাইজভান্ডারী এসোসিয়েশনের সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী সুমন।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজান ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে ইসলামী ইতিহাসের প্রথম আত্মরক্ষামূলক সশস্ত্র যুদ্ধ ‘গায্ওয়ায়ে বদরে’ ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডীন হয়েছিল।