বদলে যাচ্ছে কুমিল্লা বোটানিক্যাল গার্ডেন

 

আবু সুফিয়ান রাসেল।।

কুমিল্লা চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন। দুই যুগ পর সংষ্কার হচ্ছে বৃহত্তর কুমিল্লার একমাত্র বোটানিক্যাল গার্ডেন। জেলা পরিষদ বলছে চিড়িয়াখানা নিয়ে রয়েছে পরিকল্পনা। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন পরিকল্পতভাবে সাজানো হচ্ছে বোটানিক্যাল গার্ডেন।

সূত্রমতে, ১৯৮৬ সালে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের একাংশে ১০ একর জামির উপর তৈরি হয় কুমিল্লা চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন। শুরু থেকেই নানা অবহেলায় ছিলো এ বিনোদন কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠার তিন যুগ পর পরিকল্পত ভাবে সাজানো হচ্ছে বোটানিক্যাল গার্ডেনকে।

ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাফায়েত উল্লাহ মিয়াজী বলেন, ২০ টাকা টিকেটে এ বিনোদন কেন্দ্রে প্রবেশ করলে লস। চিড়িয়াখানায় দেখার মতো তেমন প্রাণী নেই। বোটানিক্যাল গার্ডেন পানির নিচে। এটি সংষ্কার করা খুবই জরুরি।
নগরীর রেইসকোর্স এলাকার বাসিন্দা গৃহিনী সায়মা ভূঁইয়া শিখা বলেন, সন্তান নিয়ে চিড়িয়াখানায় গিয়েছি দেখার মতো কিছুই নেই। বোটানিক্যাল গার্ডেনে সাধারণ দর্শনার্থীরা ভিতরে প্রবেশ করে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। নগর উদ্যান ছাড়া কোন বিনোদন কেন্দ্র নেই কুমিল্লা শহরে। যদি চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন পরিকল্পত ভাবে সাজানো হয় তহবে শিশুদের নিয়ে যাওয়ার পরিবেশ হবে। নতুন প্রজন্ম বৃক্ষ ও প্রাণীর পরিচয় জানতে পারবে। তারা শিখতে পারবে।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে কুমিল্লা চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন অবহেলিত ছিলো।

কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, জুন মাসে ইজারা শেষ হয়েছে। জমির মালিক জেলা প্রশাসক। জুলাই মাস থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন জেলা প্রশাসক সংষ্কারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এদিকে চিড়িয়াখানায় এখন দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ। বানর, হরিণ, অজগর, ভাল্লুক, মিশরী মুরগীসহ ১২ প্রজাতির ১৮-২০টি প্রাণী রয়েছে। জেলা পরিষদ থেকে তাদের খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। আমরা ঢাকাসহ অন্যান্য চিড়িয়াখানার সাথে যোগাযোগ করছি নতুন প্রাণী আনার বিষয়ে।

 

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান বলেন, চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন কুমিল্লার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। জলাবদ্ধাতার কারণে অনেক বৃক্ষ মারা গেছে। এখন মাটি ভরাট করে পরিকল্পতভাবে বোটানিক্যাল গার্ডেন নানা জাতের বৃক্ষে সাজানো হবে। ফুল, ফল, ঔষুধিসহ নানা জাতের গাছ থাকবে। হাঁটার জন্য পথ তৈরি করা হয়েছে। কাজ শেষে দর্শনার্থীদের জন্য আবার উন্মুক্ত করা হবে।