বন্যার্তদের খিচুড়ি খাওয়ালেন হ্যালো ছাত্রলীগের অনিক

প্রতিনিধি।

করোনায় মৃত লাশ দাফন করে আলোচনায় আসা কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ‘হ্যালো ছাত্রলীগে’র প্রতিষ্ঠাতা আবু কাউছার অনিক এবার সিলেটের বন্যার্তদের খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ালেন। বুধবার (২২ জুন) সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছানাকান্দি, মোকামবাড়ি, উচ্চগ্রাম ও কোপার বাজার আশ্রয় কেন্দ্রসহ পানিবন্দি গ্রাম গুলোর এক হাজার পরিবারে গরম খিচুড়ি পৌছে দেন অনিক ও তার সহকর্মীরা। এসময় তাদের মাঝে মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যালাইন, ঔষধ সামগ্রীসহ শুকনো খাবার তুলে দেওয়া হয় তাদের পক্ষ থেকে। মুরগি ও সবজির সমন্বয়ে বড় আকাড়ের ১৪টি ডেকচিতে রান্না করা হয় খিচুড়ি। তারপর নৌকায় করে সেসব ডেকচি নিয়ে যাওয়া হয় বানভাসীদের আশ্রয় কেন্দ্র ও পানি বৃদ্ধির ফলে বিচ্ছিন্ন গ্রাম গুলোতে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার উচ্চগ্রামের বাসিন্দা রফিক মিয়া বলেন, ‘বন্যার কারনে শুকনো খাবার খেয়ে দিন পাড় করছিলাম। ঘরে রান্নার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। গরম খিচুড়ি খেয়ে কি যে তৃপ্তি লাগছে বলে বোঝাতে পারবো না’।

হ্যালো ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা আবু কাউছার অনিক জানান, ‘কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশক্রমে আমরা বন্যায় কষ্টে থাকা মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়াতে চেস্টা করেছি। কুমিল্লা উত্তর জেলা ও দেবিদ্বার উপজেলা যুালীগের পক্ষ থেকে মানুষের মুখে অল্প খাবার তুলে দিতে পেরে শান্তি লাগছে’।

বন্যার্তদের জন্য খিচুড়ি খাওয়ানোর বিষয়ে অনিক বলেন, ‘মানুষ বন্যার জন্য অনেক দিন শুকনো খাবার খেয়ে আছে। তাই রান্না করে কিছু খাওয়ানো যায় কি না সেই চিন্তা থেকে খিচুড়ি দেওয়া’।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লায় করোনায় মৃত লাশ দাফন, করোনাক্রান্ত রোগীদের ঔষধ প্রদান, টেলিমেডিসিন সেবা, রোগীদের রক্তদান ও সেই সময়ে কৃষকদের ধান কেঁটে আলাচনায় আসে অনিকের ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’। বন্যার্তদের এবছর কুমিল্লা জেলা ও দেবিদ্বার উপজেলা যুবলীগের সমন্বয়ে সহায়তায় প্রদান করা হয়। এসময় যুবলীগ নেতা হাজী আবুল কাশেম ওমানী, মাসুম রানা ওমানী, মিজানুর রহমান সরকারসহ অন্যান্যরা সহায়তা করেন।