বর্ণিল সাজে শতবর্ষী কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ

inside post

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে বড় ঈদগাহ কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ। এর ইতিহাস জানা নেই কারো। তবে ধারণা করা হয়, মোগল শাসিত এ অঞ্চলের বৃহৎ ঈদগাহের বয়স প্রায় শতবছর। এবার ঈদগাহে ২০হাজারের বেশি মুসল্লি সমাগমের প্রত্যাশা করছেন বিশিষ্টজনরা। এবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন মুফতি শাহ ইব্রাহীম আল-কাদেরী।
কনিবার মাঠে গিয়ে দেখা যায়,মাঠের ফাটল সংস্কার করা হচ্ছে। এছাড়া কাতার সোজা রাখতে সাদা রঙ দেয়া হচ্ছে। মাঠের চারপাশে লাইটিং করা হয়েছে।


ক্রীড়া সংগঠক বদরুল হুদা জেনু বলেন, ১৯৬৪ সালে ঈদগাহের পাশে একটি বাসায় থাকতাম। তখন ছয়টি কাতার পাকা ছিলো। পেছনের অংশে ঘাস ছিলো। দেয়াল ছিলো ঢেউ ঢেউ। যার উচ্চতা তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট হবে। তখন ঈদগাহ জিলা কাউন্সিল (বর্তমান জেলা পরিষদ) সার্বিক বিষয়ে দেখাশোনা করতো।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল বলেন, প্রাচীন সংবাদপত্র আমোদ সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর মুখে শোনা,বৃটিশ আমলের শেষ দিকে ঈদগাহ গড়ে উঠে। ত্রিপুরার রাজার কাছে মুসলিম প্রজাদের দাবির প্রেক্ষিতে ঈদগাহের জমি দেয়া হয়।
ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেন,ছোটবেলা থেকে এখানে নামাজ পড়ি। ঈদগাহে নামাজ পড়ার গুরুত্ব বেশি। সবাইকে ঈদগাহে নামাজ পড়ার আহবান জানাবো। তিনি আরো বলেন, এখন ঈদগাহের যে রূপ তা সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর সময় করা। ঈদগাহের সৌন্দর্য বর্ধনে আরো সংস্কার করা প্রয়োজন।


ঈদগাহের ইমাম মুফতি শাহ ইব্রাহীম আল-কাদেরী বলেন, ২০০০ সাল থেকে ঈদের জামাতের ইমাম পদে দায়িত্ব পালন করছি। পূর্বে আমার বাবা মাওলানা ইসহাক সাহেব ৪৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। বাবার আগে দৌলুতপুরের হাফেজ সাহেব একযুগ দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও দুই-তিনজন বিভিন্ন ঈদে অনিয়মিত ঈদের ইমামতি করেছেন। এখানে ঈদ-উল ফিতরে বেশি মুসল্লির সমাগম হয়। দিন দিন মুসল্লির সংখ্যা বাড়ছে। ঈদগাহ পেরিয়ে জামাত সড়কে চলে যায়।
জেলা প্রশাসক মো.আমিরুল কায়ছার বলেন, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। ১০টায় কান্দিরপাড় মসজিদে আরেকটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আনন্দঘন পরিবেশে ঈদের জামাত আয়োজনে আমরা সকল প্রস্তুতি হাতে নিয়েছি।

আরো পড়ুন