বর্ষাকালে জলমগ্ন থাকাই যেন নিয়তি!

কুমিল্লা বিসিক শিল্প নগরী

সাইফুল ইসলাম সুমন।।
অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে কুমিল্লা বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় যেকোন ঋতুতে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর বর্ষাকালের দুই মাস জলমগ্ন থাকাই যেন বিসিক এলাকার নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে! বছরের পর বছর এই সমস্যা লেগে আছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম। ভোগান্তিতে পড়ছেন গাড়িচালক, পথচারী ও স্থানীয়রা।
বিসিক সূত্র জানায়, ৫৪ দশমিক ৩৫ একর ভূমিতে গড়ে উঠে কুমিল্লা বিসিক শিল্প নগরী। বিসিকে ১৪১টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩০ টি প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গত অর্থ বছরে প্রায় ৬শ কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন করা হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মালবাহী পরিবহনগুলোকেও নানান সমস্যার সম্মুখিন হতে হয় । বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়।
পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকচালক মো. মকবুল হোসেন জানান, জলাবদ্ধতার কারণে গাড়ি চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। কোথায় গর্ত আছে সেটা বুঝা যাচ্ছে না। এতে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় তাদের।
স্থানীয় অধিবাসী আফাজ উদ্দিন জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটু সমান পানি হয়ে যায়। তাদের হাটা চলা করতে অসুবিধা হচ্ছে। ময়লা পানি দিয়ে চলাচলে তারা চর্মরোগসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছেন তারা।
কুমিল্লা ফ্লাওয়ারের ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা বিক্রম চন্দ্র দাস জানান, জলাবদ্ধতার কারণে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে অসুবিধা হচ্ছে। এতে করে তাদের উৎপাদনে খরচের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
কুমিল্লা বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক মো. মুনতাসীর মামুন বলেন, নগরীর বিভিন্ন অঞ্চলের পানি বিসিক শিল্প নগরী হয়ে নামে। পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে বিসিক এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি রাস্তা ও ড্রেনের কাজ করতে প্রাক্কলন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। বিসিকের রাস্তা ও ড্রেনের কাজ সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতা থাকবে না।