বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসবে রঙিন কলেজ ক্যাম্পাস

প্রতিনিধি।।
একদিকে পিঠা খাওয়ার ধুম ও অন্যদিকে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। কলেজ আঙিনা যেন উৎসবে হাট। রবিবার এই উৎসবের হাট বসে কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ে। পিঠা উৎসব উপলক্ষে পুরো অনুষ্ঠানস্থলকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। এতে ১১টি বাহারী পিঠার স্টল নিয়ে বসেন শিক্ষর্থীরা।
উচ্চমাধ্যমিক শাখার মুক্তমঞ্চ ও খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব। ফিতা কেটে আয়োজনের উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম। শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মো. আবু জাহেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মোস্তাক আহমেদ ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক দিল আরা আফরোজ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উচ্চ মাধ্যমিক শাখার মানবিকের বসন্তের স্বাদ, ব্যবসায় শিক্ষার নবান্ন পিঠাঘর, বিজ্ঞানের গ্যালিলিও পড়ন্ত পিঠাঘর, বাংলার রসকলি পিঠালয়, ব্যবস্থাপনার পিঠাপুলির ঝুড়ি, সমাজকর্মের পিঠা যাবে পেটুক বাড়ি, ইংরেজির মাটির টানে পিঠার ঘ্রাণে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মনোহরা পিঠাঘর, অর্থনীতির ঐতিহ্যের পিঠাপুলি, হিসাববিজ্ঞান হিসাবের পিঠা ও ডিগ্রি শাখা পুঁই মাচা এবং পিঠাঘর নামে স্টল নিয়ে বসেছে।
নিজেদের হাতে তৈরি এসব পিঠার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গাজর মালাই, সেমাই লাড্ডু, ঝাল মালপোয়া, দুধ চিতই, সুজি রসভরি, দুধ পলি, কুমড়া সুন্দরী পিঠা, রসের জিলাপী, মিটবল, কমলা সুন্দরী, সুজির বরফি, জামাই পিঠা, রাশিয়ান পিঠা, সতীনমোচর, গোলাপ পিঠা, বউ পিঠা, নারকেল পুলি, রসমালাই ও রসগোল্লা।
মেলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী ভিড় করেন। পিঠা উৎসবে বিভাগ ভিত্তিক প্রথম অর্থনীতি, দ্বিতীয় ব্যবস্থাপনা ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে সমাজকর্ম বিভাগ। অন্যান্যদের সান্ত¡না পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থী কামরুন নাহার ও কামাল আহমেদ বলেন,আমরা এই উৎসবের অপেক্ষায় থাকি। এবারে আগের আয়োজনকে ছাড়িয়ে গেছে।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, পিঠা উৎসব আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্টিশীলতার স্পৃহা বাড়বে। প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবারের উৎসবও বর্ণিল হয়েছে। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান।