বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঈদ পুনর্মিলনী

 
প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম ওরফে চৈতী কালাম। ঈদের পরদিন নিজ গ্রাম কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়নের পাশাপুর গ্রামে আয়োজন করেন ঈদ পুনর্মিলনী ও ভুরিভোজ অনুষ্ঠানের। কিন্তু লাকসাম পৌরসভা ও উপজেলা নেতাকর্মীরা তা বয়কট করে। অনুষ্ঠানে আগতদের অধিকাংশ খাবার না পেয়ে ফিরে যান। খাবার না পেয়ে এক ষাটোর্ধ্ব বিএনপি কর্মী চৈতী কালামের সম্মূখেই প্লেট ছুঁড়ে ফেলেন। চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেন। খাবার না পেয়ে অনেককেই গালমন্দ করতে করতে চৈতী কালামের বাড়ি ত্যাগ করতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা-কর্মী জানান, ব্যক্তিগত কর্মচারী সুজন সাহা নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করে আবুল কালামের নিকট ঘেঁষতে দেননা। এতে দলীয় কর্মকাণ্ড থমকে আছে। কেন্দ্র ঘোষিত কোন কর্মসূচি পালিত হয় না। পাশাপুর গ্রামে চৈতী কালামের বাড়িতে দু/একটি ঘরোয়াভাবে দলীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন হলেও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। আজও দাওয়াতে এসে খাবার না পাওয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে চৈতী কালাম বাসায় ঢুকে পড়েন। পরে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যান।
অপর সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে চৈতী কালাম লাকসামে কোন দলীয় কর্মসূচি পালন তো দূরের কথা সদর এলাকাতেই উঠতে পারেন না। এতে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
চৈতী কালামের পিএস সুজন সাহা বলেন, আমাদের আয়োজন ছিল ৮শত লোকের। কিন্তু লোক এসেছে দেড় হাজারের বেশি।
সুজন সাহা বলেন, এটি কোন দলীয় প্রোগ্রাম নয়। কালাম সাহেবের ছেলের বউ ও শ্বশুর বাড়ির কয়েকজন লোকের জন্য এ আয়োজন করা হয়েছে।
লাকসাম পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হোসেন মিলন বলেন, চৈতী কালাম তার ব্যক্তিগত কর্মচারী দিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। আমরা তার সকল প্রোগ্রাম বয়কট করেছি। তার ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে লাকসাম পৌরসভা ও উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মী যায়নি। লাকসাম উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও মনোহরগঞ্জের কিছু লোক তার প্রোগ্রামে গেছে। সেখানেও শুনেছি বিশৃঙ্খলা হয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, দু’দিন আগেও তার বাড়িতে মারামারি হয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আবুল কালাম ওরফে চৈতী কালাম জানান, বড় প্রোগ্রামে একটু ঝামেলা হয়।