বিসিকের ভাঙ্গা সড়কে ফুটেছে কচুরিপানার ফুল!

 

অর্ধযুগ বেহাল কুমিল্লা বিসিকের সড়ক ও ড্রেন

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন(বিসিক) কুমিল্লার সড়ক ও ড্রেন গুলোর বেহাল অবস্থা অর্ধযুগ ধরে। কোথাও ড্রেনের পানি উপচে সড়ক গুলো পুকুরে রূপ নিয়েছে। সেই পুকুরে জন্মেছে কচুরিপানা ও কচু গাছ। কচুরিপানার ফুল ফুটলেও তা সৌন্দর্যের না হয়ে ভোগান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। বৃষ্টি হলে এই দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। ডুবে যায় বিসিক এলাকার প্রায় সড়ক। ময়লা পানি মাড়িয়ে চলতে হয় কারখানার মালিক,কর্মচারী ও ক্রেতাদের।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিসিকের দক্ষিণ অংশে ফাইনওয়ে কারখানার পাশের ড্রেনের কাজ করা হয়েছে। মাঝে সড়ক জলাবদ্ধ হয়ে আছে। সেটি চলাচলের অনপযোগী হয়ে রয়েছে। মাঝের অংশ খালে পুকুরে রূপ নিয়েছে। সেই পুকুরে জন্মেছে কচুরিপানা ও কচু গাছ। একটু এগুলে গোল্ডেন বিস্কুট ফ্যাক্টরি। তার পাশ দিয়ে পূর্ব দিকে যাওয়া সড়কের অর্ধেক ড্রেনের পানি ওঠে জলাবদ্ধ। সেখানেও সড়কের পাশে কচুরিপানা জন্মেছে। এদিকে ড্রেন গুলো কোনটি সরু, কোনটি ডোবায় পরিণত হয়েছে। এদৃশ্য দেখা গেছে ময়নামতি প্রেসের পাশে। বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকায় বাতাসে ভাসছে দুর্গন্ধ। এছাড়া বিসিক এলাকার প্রায় সড়ক ভাঙা।


বিসিক কুমিল্লার সূত্রমতে,১৯৬০-১৯৬১ সালে ৫৪ দশমিক ৩৫ একর এলাকায় স্থাপিত হয় বিসিক কুমিল্লা অঞ্চল। এতে মোট প্লট সংখ্যা ১৫৫টি। ৬টি প্লটের মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, আবাসিক ভবন ও  ওয়াটার ট্যাঙ্ক। বাকি ১৪৯টি শিল্প প্লটে ১৪২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন আছে। সচল থাকা ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কাজ করছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এখানে রয়েছে একাধিক স্টিল মিল, বেকারি,মুড়ি,জাল, আয়ুর্বেদিক পণ্য তৈরির কারখানা, আটা ও পাটজাত পণ্য তৈরির কারখানা। এছাড়া অ্যালুমিনিয়াম, সিলভার ও প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানাসহ আছে বেশ কয়েকটি টেক্সটাইল মিল।
মডার্ন বেকারির স্বত্বাধিকারী মুজিবুল হক বলেন, আমরা একটা ডোবার মধ্যে পড়ে আছি। এখানে ১২মাসই জলাবদ্ধতা থাকে। বৃষ্টি হলে আমাদের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। কিছু এলাকায় আমরা নিজের টাকায় সড়কে মাটি ফেলেছি। সড়ক গুলো উঁচু ও ড্রেন নির্মাণ করা প্রয়োজন।


বিসমিল্লাহ মুড়ি মিলের পরিচালক ইরফান হাসান বলেন, জলাবদ্ধতা ও সড়কের দুরাবস্থা দীর্ঘদিনের। দক্ষিণ অংশের অবস্থা বেশি বেহাল। এছাড়া সড়কের অবস্থাও ভালো নয়। পরিবেশ ভালো হলে বিসিকে আরো বেশি ক্রেতা আসবে।
বিসিক কুমিল্লার ডিজিএম এসএম আলমগীর কাদেরী বলেন, পাশের বাড়ি-ঘর গুলো উঁচু হয়ে গেছে। সেনিরিখে বিসিক এলাকা নিচু। নগরীর ঠাকুরপাড়া,রানীর বাজার,অশোকতলা এলাকার পানি এদিকে প্রবেশ করে। তাই দ্রুত এই এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে যায়। ড্রেনের কিছু কাজ হয়েছে। আমরা এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। আশা করছি সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করতে পারবো।