বেকায়দায় কুমিল্লার প্রসূতি ও সহস্রাধিক ধাত্রী

 

মহিউদ্দিন মোল্লা

কুমিল্লায় ‘নিরাপদ মাতৃত্ব কার্যক্রম’ কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন ১১উপজেলার প্রসূতি ও সহস্রাধিক ধাত্রী প্রশিক্ষণার্থী নারীরা। গ্রামের নারীদের নিরাপদ প্রসব,মা ও শিশুর মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে এই কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়।

সূত্রমতে, গ্রামের অধিকাংশ নারী প্রসবকালীন সময়ে চিকিৎসা সেবা পান না। তাদের সেবার জন্য গ্রামের এসএসসি বা এইচএসসি পাশ নারী,স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবা নারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ছয় মাস প্রশিক্ষণের পর তাদের মাঠ নামতে বলা হয়। তারা সেবার বিনিময়ে প্রসূতি পরিবার থেকে একটা ন্যূনতম ফি নেন। এতে প্রসূতি সেবা পান পাশাপাশি প্রশিক্ষণ নেয়া নারী সচ্ছল হচ্ছেন। সমাজ সেবক ডা. আলী আহমেদ মোল্লা ২০১৫সালে মা ও শিশুর মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব কার্যক্রম’ কর্মসূচির আওতায় পাঁচ উপজেলায় ধাত্রী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। উপজেলা গুলো হচ্ছে,নাঙ্গলকোট, লাকসাম,সদর দক্ষিণ, মনোহরগঞ্জ ও লালমাই। এখানে ৪২৩জন নারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ২০১৮সালে এই কার্যক্রম শেষ হয়। ২০১৯সালে আরেকটি কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। জেলার চৌদ্দগ্রাম,বরুড়া,চান্দিনা, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার উপজেলার ৬৯৩জন নারীকে ধাত্রী প্রশিক্ষণের জন্য শনাক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে ১৮০জনের প্রশিক্ষণ চলার সময় কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মায়ের সেবার প্রতিষ্ঠাতা ডা. আলী আহমেদ মোল্লা বলেন,আমরা গ্রামীণ নারীদের নিরাপদ মাতৃত্ব ও অসহায় বেকার নারীদের সচ্ছল করতে কার্যক্রমটি হাতে নিয়েছিলাম। এজন্য সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা পেয়ে আসছিলাম। সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে প্রথম কর্মসূচির ধাত্রীদের পুন: প্রশিক্ষণ ও পরবর্তীতে শনাক্ত করা নারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া যেতো। এই কার্যক্রম চলার কারণে ওই সব উপজেলায় মাতৃ মৃত্যুর হার শূন্যে নেমে এসেছিলো। প্রশিক্ষণ নেয়া ধাত্রীদের ৮০ভাগ সচ্ছল হয়েছিলো।

লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজিয়া বিনতে আলম বলেন,তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে আমার ধারণা রয়েছে। কার্যক্রমটি চালু থাকলে প্রসূতি নারীদের সেবার পাশাপাশি অসহায় নারীদেরও সহায়তা হতো।