বেহাল লাকসাম -চৌদ্দগ্রাম সড়ক

 

পাঁচ কিলোমিটার সড়কে পাঁচ সহস্রাধিক খানাখন্দ!

অফিস রিপোর্টার।।

কুমিল্লার লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার-চৌদ্দগ্রাম সড়ক। ২১ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে দৌলতগঞ্জ বাইপাস থেকে নরপাটি পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কে পাঁচ সহস্রাধিক ছোট-বড় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কুমিল্লার লাকসাম, নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার যাত্রীরা। এই সড়কে কুমিল্লার তিনটি উপজেলার যাত্রীরা বেকায়দায় পড়ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম সড়কের লাকসাম পৌরশহর, নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় সড়কটির অবস্থান হওয়ায় তিন উপজেলার মানুষ সড়কটি দিয়ে চলাচল করেন। এই সড়কের মধ্যে লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার, পূর্ব লাকসাম, গন্ডামারা,কাদ্রা,ভোজপাড়া,গুনতি,তেলিপাড়া, গাইনেরডরা ও নরপাটি বাজার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়কে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের দুরবস্থার কারণে মালবাহী ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার্ডভ্যান, যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে নাকাল হতে হচ্ছে। অনেক সময় গর্তে গাড়ি আটকে যাওয়ায় ধাক্কা দিয়ে গাড়ি উঠাতে হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যাত্রীদের গাড়ি থেকে নেমে গর্ত পার হতে হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সবাহী রোগীদের সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এ সড়কে পৌরসভার উপজেলার ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম ছয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং রাস্তার দুপাড়ের ১০ টি মসজিদ ও চারটি বাজারে যাতায়াতে এ সড়কই ভরসা। এই বর্ষায় মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। মালামাল সরবরাহে দুর্ঘটনাও ঘটছে। পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে সড়কের পাশে পড়ার ঘটনাও ঘটছে।
কাদ্রা এলাকার আলহাজ্ব খোরশেদ আলম বলেন, সড়কের পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গাড়ি নিয়ে মালামাল আনা নেওয়া খুবই কষ্টকর। পুনর্র্নিমাণ বা সংস্কার না করা হলে এই অঞ্চলের মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

নরপাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবল আলম বলেন, লাকসামের অংশে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় মানুষকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেশিরভাগ সময়েই সড়কের বড় বড় গর্ত সমূহে যানবাহন আটকে যাচ্ছে। চলাচলে ঝুঁকি থাকায় যাত্রীদের গাড়ি থেকে নেমে ঝূঁকিপূর্ণ এলাকা পার হতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর লাকসাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারি প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন বলেন, লাকসাম- চৌদ্দগ্রাম সড়কটি এক অংশের কাজ হয়েছে। বাকি অংশ সড়কটির সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়েছে। অন্য অংশের কাজও সহসা শুরু হবে বলে আশা রাখছি। সড়কের যেখানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো দ্রুত ভরাট করে চলাচল উপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।