বৈষম্য কমাতে কাজ করবেন কুমিল্লার তিন নারী প্রার্থী

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার ১১টি আসনে ৭৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন নারী প্রার্থী রয়েছেন। তারা নারীর প্রতি বৈষম্য কমাতে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। তারা হলেন, কুমিল্লা-০১ হোমনা-মেঘনা আসনের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিমা আহামেদ মেরী, কুমিল্লা-০৬ সদর আসনের প্রার্থী বর্তমান সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আনজুম সুলতানা সীমা ও কুমিল্লা-১০ নাঙ্গলকোট,সদর দক্ষিণ,লালমাই আসনের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা জাতীয় মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক মিসেস জোনাকী হুমায়ূন। কুমিল্লার ১১ টি আসনে মোট মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ১২১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ৪৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সূত্রমতে,কুমিল্লা-০১ হোমনা-মেঘনা আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিমা আহামেদ মেরীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে মেঘনা উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শফিকুল আলমের সাথে। মেরী ২য়বারের মতো সাধারণ আসনে নির্বাচন করছেন।
কুমিল্লা-৬ সদর আসনে আনজুম সুলতানা সীমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের সাথে। সীমা প্রথমবারের মতো সাধারণ আসনে নির্বাচন করছেন। এর আগে তিনি কুমিল্লা পৌরসভার তিনবারের কাউন্সিলর,সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। কুমিল্লা-১০ নাঙ্গলকোট,সদর দক্ষিণ,লালমাই আসনে মিসেস জোনাকী হুমায়ূনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে। জোনাকী হুমায়ূন ২০১৯সালে সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, তবে বিভিন্ন কারণে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছিলেন।
বক্তব্য নেয়ার জন্য কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সেলিমা আহামেদ মেরীকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
আনজুম সুলতানা সীমা বলেন,৩দশক রাজনীতি ও সামাজিক কাজে জড়িত আছি। নির্বাচিত হলে নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের সাথে পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য কাজ করবো।
মিসেস জোনাকী হুমায়ূন বলেন,১৫বছর ধরে রাজনীতি করছি। প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে ভাবছি না। সুষ্ঠু ভোট হলে বিজয়ী হবো। নারীর প্রতি বৈষম্য কমাতে কাজ করবো।
জেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম,কুমিল্লার সভাপতি রাশেদা আখতার বলেন, আরপিও অনুযায়ী মূল দলীয় কাঠামোতে নারীদের ৩৩% শতাংশ অন্তর্ভুক্ত করার বাধ্যবাধকতার আজও বাস্তবায়িত হয়নি। এতে নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল গুলোতে সহযোগী সংগঠনের দক্ষতা ও যোগ্যতা সম্পন্ন নারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য চিন্তাই নাই। আর্থিক দিক থেকে নারীরা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বলে নানা প্রভাবেদুষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো।
মোট আসনের এক তৃতীয়াংশতে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার নিয়ম গঠনতন্ত্র সংশোধন করে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই বিষয়ে দল গুলোকে নির্বাচন কমিশনেরও বাধ্য করার বিষয়টি নজর দেয়া দরকার। সমতা নয় আমরা এখন সাম্য চাই,এটি সময়ের দাবি।