ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের আনন্দ মিছিলে পদবিঞ্চতদের হামলা

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জেলা কমিটি গঠনের পর থেকেই নেতাদের বাড়িতে পদবঞ্চিতদের হামলা, ভাঙচুর, গুলির ঘটনায় টানা তিন দিন ধরে শহরজুড়ে উত্তাল অবস্থা। এরই মাঝে নবগঠিত কমিটির আনন্দ মিছিলে হামলা করেছে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এই নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষে বিস্ফোরিত হয় অসংখ্য ককটেল। সোমবার (১২ জুন) সকালে শহরতলীর বিরাসার বাসস্ট্যাণ্ড মোড়ে ও খৈয়াসার রোডে ঘটে এই সংঘর্ষ। এ সময় অন্তত অর্ধশতাধিক ককটেলের বিষ্ফোরণে পুরো এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পদবঞ্চিতরা। এরই জের ধরে গেল শুক্রবার ও শনিবার জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. আরিফ ওরফে ভিপি শামীম, ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান শাহীনসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা-ভাঙচুর চালায় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। সোমবার সকালে শহরের লোকনাথ ট্যাঙ্কেরপাড় বিবাদমান দু’পক্ষই কর্মসূচি গ্রহণ করে। তবে পুলিশের অনুমতি না থাকায় ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ শহরতলীর বিরাসার থেকে আনন্দ মিছিল করতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্ববায়ক ফোজায়েল চৌধুরীর নেতৃত্বে পদবঞ্চিতরা ওই আনন্দ মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এসময় নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের পক্ষে যুবদল, কৃষকদলের নেতাকর্মীরাও প্রতিরোধ গড়ে তুললে দু’পক্ষই দা, ককটেলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই সংঘর্ষ ও উত্তেজনা চলছে। সোমবার সকালে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুরো শহরজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সেলিম শেখ বলেন, ‘যেকোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে রয়েছে। জানমালের রক্ষায় সর্বাত্মক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’