ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় পিটুনি

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাওনা টাকার বদলে পিটুনি খেয়ে দুই সহোদর হাসপাতালে। দেনাদারের লোকজনের অতর্কিত হামলায় জিকেশ ও সুকেশ নামীয় দুই সহোদর গুরুতর আহত হয়ে এখন হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। পুলিশ বলছে,অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেনাদারের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জেলা সদরের দারিয়াপুর গ্রামের গণেশ দাসের দুই ছেলে জিকেশ দাস (৩৮) ও সুকেশ দাস (৩২)। এর আগে মহান বিজয় দিবসের (১৬ ডিসেম্বর) দারিয়াপুর এলাকার পার্থ দাস গংরা ওই দুই সহোদরের উপর হামলা চালিয়ে বেধরক মারধর করে।
হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন জিকেশ দাস বলেন, প্রায় দুই বছর আগে প্রতিবেশী পার্থ দাস আমার কাছ থেকে চার লাখ টাকা ধার নেয়। টাকা ফেরত দেয়ার নির্ধারিত সময় অতিবাহিতের পরও আমি পাওনা টাকা চাওয়ায় গড়িমসি করতে থাকে। কিছুদিন পরপর বিভিন্ন দিন তারিখ দিয়ে আমায় ঘুরাতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানালে তারা সালিশের মাধ্যমে আমার পাওনা চার লাখ টাকার মধ্যে আড়াই লাখ টাকা নির্ধারণ করে দেন। শনিবার দুপুরে ওই টাকা চাইতে গেলে পার্থ দাসের নির্দেশে রিংকু দাস, লিটন দাস, চিত্তরঞ্জন দাস, সানি দাস, চয়ন দাসসহ ৮/১০ জন মিলে আমি এবং আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালিয়ে বেধরকভাবে মারধর করতে থাকে। তারা এক পর্যায়ে আমার মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে। আমাদের শোরচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে জামলাকারীদের কবল থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে উল্টো মারধরের শিকার হলাম। আমরা এই জঘন্য ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’