ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পায়ের রগ কেটে যুবককে হত্যা

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে জনি মিয়া (৩৫) নামের এক যুবককে পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজারে ঘটে নৃশংস এই ঘটনা। নিহত জনি মিয়া ওই এলাকার মো. মকসেন মিয়ার ছেলে। এসময় আওয়াল মিয়া নামের (৪৭) আরও একজন গুরুতর আহত হন।
নিহতের চাচাত ভাই মো. বিদ্যুৎ ও পরিবারের অভিযোগ, জনি ও আউয়াল ১৪ আগস্ট  রাত ১০টার দিকে তালশহর বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাজার সংলগ্ন সেতু অতিক্রম করতেই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সামার নির্দেশে তার দুই ছেলে সাচ্চু মিয়া ও আমির হোসেনসহ তাদের দলবল অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং সাথে থাকা আউয়ালকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় প্রেরণ করেন। ঢাকা যাওয়ার পথে রাত দুইটার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।
তালশহর পশ্চিম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোলাইমান সেকান্দর অভিযোগ করে বলেন, ‘জনি আমার একজন কর্মী ছিলেন। আমি বিগত ২০২২ সালে ৫ জানুয়ারি নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এর পর থেকেই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সামা ও তার ছেলেরা আমার এবং আমার কর্মীদের উপর ক্ষুব্ধ ছিল। এরই জের ধরে সোমবার রাতে আবু সামা ও তার ছেলেরা এই হত্যাকাণ্ড চালায়। এদিকে দুপুরে হত্যাকান্ডের বিচারের দাবীতে মাথায় কাফনের কাপড় পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এ বিষয়ে জানতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সামা  ও তার ছেলে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমির হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আশুগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) নাহিদ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহতের মরদেহের ময়না তদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।