ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলসেবার দাবীতে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হেফাজতকাণ্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হবার দীর্ঘ ছয় মাসেও চালু হয়নি রেলসেবা। লাখো মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বন্ধ। এহেন যৌক্তিক দাবীতে সচেতন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর ব্যানারে বিভিন্ন সংগঠন সভা-সেমিনারসহ নানান কর্মসূচি পালন অব্যাহত থাকলেও চালু হয়নি রেলসেবা। এসবের ফলশ্রুতিতে ক্রমেই ফুঁসে ওঠছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। আলটিমেটামের পর এবার ঘোষিত হলো রেলপথ অবরোধের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন দ্রুত সংস্কারসহ সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিতের দাবীতে রেলস্টেশন প্লাটফরমে নাগরিক ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে গত ২ অক্টোবর রেলসেবা চালুর দাবীতে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলো সন্ত্রাস বিরোধী মঞ্চ। ৯ অক্টোবর শনিবার ঘোষিত আলটিমেটামেরও সময় হয়ে গেছে অতিক্রান্ত।
 শনিবার (৯ অক্টোবর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের প্লাটফরমে জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক আব্দুন নূর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, ওয়াসেল সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন ভাঙচুরের পেছনে প্রকৃত দায়ীদের আইনের আওতায় না এনে রেল বন্ধ রাখায় জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক। বক্তারা অবিলম্বে স্টেশনের সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবী জানান। অন্যথায় রেলপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও জানানো হয়। এর আগে গত ২ অক্টোবর সন্ত্রাস বিরোধী মঞ্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব অঙ্গনে মানববন্ধন থেকে রেলসেবা চালুর দাবীতে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলো। ৯ অক্টোবর শনিবার ঘোষিত আলটিমেটাম অতিক্রান্ত হলেও চালু হয়নি রেলসেবা। একই স্থানে জেলা নাগরিক ফোরাম মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে ৯ অক্টোবর রেলস্টেশন প্লাটফরমে মানববন্ধন-সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। গৃহিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক শনিবার জেলা নাগরিক ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধন-সমাবেশ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে অনতিবিলম্বে রেলসেবা চালু না হলে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬-২৮ মার্চ হেফাজতকাণ্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনসহ সরকারি-বেসরকারি অন্তত ৩৮টি স্থাপনায় পরিচালিত হয় ব্যাপক ধ্বংসলীলা। সেই থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন রেলসেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।