মডেল মসজিদ উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পায়নি ভূমি দাতার পরিবার
প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ে সারা দেশের ৫০টি মডেল মসজিদের সাথে চান্দিনার মাধাইয়া-কলাগাঁও এলাকার দৃষ্টিনন্দন ওই মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির বক্তৃতার পর দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর চান্দিনা উপজেলা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি।
২০১৮ সালে ১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মাধাইয়া-কলাগাঁও নামক স্থানে সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এমপি’র দানকৃত ৩০ শতাংশ ভূমির উপর মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সে সময় মসজিদটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এমপি। ওই মডেল মসজিদটির কাজ নির্মাণ কাজ ২০২০ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতায় তার সময় এবং নির্মাণ ব্যয় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ১৪ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই মসজিদটি সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে পূর্ণতা পায়।
এদিকে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রেটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভূমি দাতা সাবেক সংসদ সদস্যের পরিবারের কেউ আমন্ত্রণ পাননি বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। সাবেক এমপি’র ছেলে এফবিসিসিআই এর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ টিটু বলেন- ‘আমার বাবা নিজস্ব ভূমি দান করেছেন। নিজে জীবিত থাকতে মসজিদটির ভিত্তি প্রস্তরও স্থাপন করে গেছেন। আজকে উদ্বোধন হলো, কিন্তু আমি বা আমার পরিবারের কেউ আমন্ত্রণ পায়নি। ব্যাপারটি আমাদেরকে মর্মাহত করেছে।’
এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মহিউদ্দিন আহমেদ আলম বলেন- ‘আওয়ামী লীগ সরকারের দেশ ব্যাপী এত বড় একটি প্রকল্প। আমাদের চান্দিনায়ও মডেল মসজিদ উদ্বোধন হলো। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আমন্ত্রণ দেওয়া হয়নি।’
এব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাপস শীল বলেন, আমন্ত্রণ দেওয়ার দায়িত্ব ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মাহবুব রহমানকে দেওয়া হয়েছিল। ভূমি দাতা হিসেবে সাবেক এমপি স্যারের পরিবারকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হলো না এ বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে বর্তমান এমপি স্যার এবং আমি অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি। উনার একান্ত প্রচেষ্টায় মনোরম পরিবেশে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রেটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে।’
এব্যাপারে জানতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চান্দিনা উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার মাহবুব রহমানের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ৩ তলা বিশিষ্ট মসজিদটিতে প্রতি ওয়াক্ত একই সাথে ৫০জন নারীসহ ৯শ মুসল্লি একই সাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন। রয়েছে ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, প্রতিবন্ধি প্রার্থনা কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরী, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, ম্যাসএডুকেশন কক্ষ, অটিজম কর্ণার, উপ-পরিচালকের কক্ষ, সভাকক্ষ সহ ৩২ সুবিধা।