মনোহরগঞ্জে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

 

কুদরত উল্যাহ, মনোহরগঞ্জ।।

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নে হাসনাবাদ বাজারে একাধিক দোকানে গিয়ে দোকানদারকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এমদাদুল হক নামে একজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা জানাযন, গত সপ্তাহের রবিবারে হাসনাবাদ বাজারের ছাত্রবন্ধু কনফেশনারী এন্ড সুইটমিটে গিয়ে দোকানদারকে মদ বিক্রির অভিযোগ এনে হাতে হাতে নগদ অর্থ ৫০০০ টাকা আদায় করে নেন তিনি। ব্যবসায়ী নিরুপায় হয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান বিষয়টি। এদিকে পরবর্তী সাপ্তাহে আবারো মীর হোসেন পরিচালিত শাওন সুইটমিট নামে একটি মিষ্টি দোকানে বেয়ার বিক্রির অভিযোগে নগদ ছয় হাজার টাকা নেন তিনি। পরপর তিনটি ধাপে তিনি অর্থ আদায় করেন। মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নটি পার্শ্ববর্তী অঞ্চল নোয়াখালী এবং চাঁদপুরের পাশাপাশি। তাই পার্শ্ববর্তী নোয়াখালীর মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের জনসাধারণ হাসনাবাদ বাজারে বিচরণ করেন। অভিযোগ রয়েছে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে নাহার প্লাজা নামক একটি মার্কেটের ছাদে চার জন স্কুলপড়ুয়া ছাত্রকে ধরে ইয়াবার মামলা দিবেন বলে নগদ ১৫০০০ টাকা আদায় করেন তিনি। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা এবং হাসনাবাদ বাজারের মুনিয়া নার্সারি স্বত্বাধিকারী গিয়াসউদ্দিন অভিযোগ করেন গত দুই সপ্তাহ আগে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে তার কাছ থেকে নগদ দশ হাজার(১০০০০) টাকা আদায়ের অভিযোগ এই এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে চলতে থাকলে কত নিরীহ মানুষকে এভাবে চাঁদা দিয়ে যেতে হবে।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম-বার কে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি লাকসাম সার্কেল এএসপি কে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দেন ।

 

সার্কেল এএসপি মোঃ মুহিত কে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা বিষয়টি জেনেছি, লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অভিযোগের বিষয়ে এএসআই এমদাদুল হক বলেন, অভিযোগ মিথ্যা। আমি এ কর্মস্থলে যোগ দিয়েছি মাত্র তিন মাস। কেউ কেনো এ অভিযোগ করছে আমি জানিও না। অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা।