মহাসচিবের মামলা প্রত্যাহারের দাবি এলডিপির

এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির নেতাকর্মীরা। বুধবার কুমিল্লা নগরীর একটি পার্টি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এলডিপির কুমিল্লা উত্তর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ সামছুল আলম মাস্টার। সংবাদ সম্মেলনে নেতাকর্মীরা দাবি করেন, সোমবার দুপুরে কুমিল্লা চান্দিনায় এলডিপির মহাসচিব ড.রেদোয়ান সমাবেশে যোগ দিতে যান। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় প্রাণে বাঁচতে তিনি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। তবে সেই গুলিতে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কিনা তারা জানেন না।
নেতাকর্মীরা আরে দাবি করেন, রেদোয়ান সাহেব যদি ইচ্ছাকৃত গুলি করতেন তাহলে তিনি ঘটনার সময় থানায় যেতেন না। নেতাকর্মীরা রেদোয়ানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলডিপির কুমিল্লা উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম, দলটির মহিচাইল ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এদিকে দুই কর্মীর উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় এলডিপি’র মহাসচিব সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন চান্দিনার সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
বুধবার চান্দিনা হাজী সাহেবের মোড়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওই দাবি জানান তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি তপন বক্সী, পৌর মেয়র মো. শওকত হোসেন ভূইয়াসহ আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া গুলিতে আহত দুই কর্মীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। বুধবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাহমুদুল হাসান জনি ও নাজমুল হাসান নাঈম নামের ওই দুই কর্মীকে দেখতে গিয়ে এ ঘোষণা দেন তিনি। এসময় তাদের চিকিৎসার যাবতীয় খোঁজ খবর নিয়ে পরিবারের হাতে চিকিৎসা ব্যয় প্রদান করেন অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত।
এসময় তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা-কর্মীদের উপর গুলিবর্ষণের ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হামলা। চান্দিনায় এখনও খুনি রশিদের উত্তরসূরীরা রয়ে গেছে। খুনি রশিদরা জাতির পিতার স্ব-পরিবারে খুন করে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। রেদোয়ান আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের খুন করতে অমানবিক ভাবে গুলি চালিয়ে রক্ত ঝরিয়েছে। চান্দিনার মাটিতে রাজনীতি করার কোন অধিকার তার নেই।’
উল্লেখ্য, সোমবার বিকালে চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাস-২ মমতাজ আহমেদ ভবনে কলেজ ছাত্রলীগ ও পৌর এলডিপি পাল্টাপাল্টি ঈদপুনর্মিলনীর আয়োজন করে। এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাস-২ প্রধান ফটকের সামনে গেলে তার গাড়িতে ঢিল ছুড়ে মারা হয়। এসময় রেদোয়ান আহমেদ দুইটি গুলি করেন। ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের দাবি রেদোয়ানের গুলিতে দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কাজী আখলাকুর রহমান জুয়েল বাদী হয়ে ১৫জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রেদোয়ান আহমেদসহ চারজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।