মেয়র প্রার্থীদের আলোচনায় এমপি বাহারের কুমিল্লা অবস্থান
আমোদ প্রতিনিধি।
১৫জুন নির্বাচন। আর মাতও প্রচারণার ৩দিন বাকি। সময় যত কমছে প্রার্থীদের প্রচারণার গতি তত বাড়ছে। প্রার্থীদের সাথে তাদের স্ত্রী,ভাই-বোনও প্রচারণা চালাচ্ছেন। শুক্রবার মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় ছিলো এমপি বাহারের কুমিল্লায় অবস্থান। উল্লেখ্য বুধবার নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার জন্য সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তিনি এখনও কুমিল্লায় অবস্থান করছেন।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নগরীর দয়াপুর এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচারণায় স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার কখনো অংশগ্রহণ করেননি। এরপরও আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু নির্বাচন কমিশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন বাহার ভাইকে নির্বাচনী এলাকা থেকে চলে যেতে বলেছেন। তবে বাহার ভাই উচ্চ আদালতে রিট করেছে, রিটের নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি কুমিল্লাই থাকবেন।
তিনি আরো বলেন, কুমিল্লার মানুষ বাহার ভাইকে সম্মান করে, রাজনীতির উর্ধ্বে গিয়ে সবাই তাকে শ্রদ্ধা করে। আমার কোনো মিটিং এ কি আপনারা তাকে দেখেছেন। তিনি আচরণবিধি মেনে বাসায় অবস্থান করছেন, মাঝে মধ্যে আওয়ামী লীগ অফিসে যান। এখন কি আওয়ামী লীগ অফিস বন্ধ করে দিব? সাক্কু বাহার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন তাকে কুমিল্লা ছাড়তে বলেছে। এটা দুঃখজনক, সাক্কু- বাহার ভাইকে কুমিল্লা থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে।
সাবেক মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু সকাল সাড়ে ১০ টায় ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিকোনা এলাকা থেকে গণ সংযোগ শুরু করেন। তিনি বলেন, আমার নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়া হচ্ছে। দেশে সরকার নির্বাচন দিয়েছে, জনগণ যাকে ইচ্ছে ভোট দিবে। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি, দেখি নির্বাচন কমিশন কি ব্যবস্থা নেয়।
আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার সকাল ১০ টায় কুমিল্লা নগরীর ২০ নং ওয়ার্ডের লক্ষীনগর দিশাবন্দ এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন। তিনি নির্বাচনের পরিবেশন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, এই মুহূর্তে যে পরিবেশ আছে তা নির্বাচন পর্যন্ত থাকলে তিনি জয়ের ব্যপারে শতভাগ আশাবাদী। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা যারা করতে পারে, তারা ২০১৮ তে ভোটের অধিকার হরণ করেছে। সেই নৌকার মাঝি বর্তমান সংসদ সদস্য তারা এখনো এই ব্যবস্থাটাই গ্রহণ করছে। আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে খবর পেয়েছি তারা মানুষকে নির্বাচনের দিন ঠেকানোর চেষ্টা করবে। সংসদ সদস্যকে শুধুমাত্র নোটিশ দিলে হবে না তাকে অকার্যকর করতে হবে। তিনি এখনো সীমানায় বসে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনকে ডাকছেন। তিনি সুজনের(সুশাসনের জন্য নাগরিক) সভাপতিকেও নৌকার পক্ষে সভায় যাওয়ার জন্য বাধ্য করেছেন।