মোটরসাইকেল চুরি : একটির সন্ধানে গিয়ে মিললো ১১ টি

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
এ যেনো ‘কেঁচো খুঁজতে কেউটের সন্ধান’। চুরি হওয়া একটি মোটরসাইকেলের সন্ধানে নেমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ পেয়ে গেলো ১১টি চোরাই মোটররসাইকেল! শুধু কি তাই? মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় নয়জনকে। জব্দ করা হয়েছে চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচার টাকা এবং অন্যান্য মালামাল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর খানপাড়ার মৃত এনু মিয়ার পুত্র মো. নাছির (২৩), তার সহযোগী শিলাউর উত্তরপাড়ার শফিকুল ইসলামের পুত্র আবু নাঈম (২০), উড়শিউড়া দক্ষিণপাড়ার মন মিয়ার পুত্র হোসেন মিয়া (৪০), দক্ষিণ জগতসার গ্রামের ডা. সিদ্দিকুর রহমানের পুত্র মৌলানা মো. কাউছার মিয়া (৫০), আবু মিয়ার পুত্র মিজান মিয়া (২৮), মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর মধ্যপাড়ার আলফাজ চৌধুরীর পুত্র আলমগীর চৌধুরী (৩০), মদন চৌধুরীর পুত্র নূরুল আমিন ওরফে রুহুল আমিন চৌধুরী (২৯), জেলা শহরের কান্দিপাড়া মহল্লার সুধন মিয়ার পুত্র সুমন মিয়া (২৭) এবং জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর হাজীবাড়ির শওকত আলীর পুত্র ওমর সানি ওরফে শিমুল (২৫)।
সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি এক ব্যক্তি তাঁর মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশ চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারে কাজ শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (৫জুন) রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত সদর উপজেলার সুলতানপুর ও মাছিহাতা ইউনিয়ন এলাকার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের হোতাসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপশি তাদের জিম্মা থেকে উদ্ধারশেষে জব্দ করা হয় বিভিন্ন সময় চুরি করা ১১টি মোটরসাইকেল, চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচার নগদ দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং চারটি ওয়াটার পাম্প। এসবের মধ্যে চক্রের মূলহোতা নাছিরের কাছ থেকেই উদ্ধার করা হয় ছয়টি চোরাই মোটরসাইকেল। তাদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়েরশেষে সকলকেই আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে জেলহাজতে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘উদ্ধারকৃত ১১টি মোটরসাইকেলের মধ্যে তিনটির প্রকৃত মালিককে পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’