যেভাবে নিরসন হতে পারে নগরীর যানজট

 

কুমিল্লা নগরীর যানজট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। অধিকাংশ মোড়,অলিগলিতে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজট লেগে থাকছে। নগরীর কান্দিরপাড়, রেইসকোর্স, শাসনগাছা, মনোহরপুর, রাজগঞ্জ,চকবাজার,রানীর বাজার, টমছম ব্রিজ ও জাঙ্গালিয়ায় দিনভর যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। মূল সড়কের যানজট থেকে বাঁচতে অনেকে গলিতে প্রবেশ করেন। সেখানেও যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য,কান্দিরপাড় ঘিরেই যানজট। তাই ওই এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করা যেতে পারে। সিআইপি ভিআইপি সবাই হাঁটবে। তাহলে যানজট কমবে। এনিয়ে গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

সংবাদে উল্লেøখ করা হয়,কুমিল্লা মোটর এসোসিয়েশনের সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার বলেন, নগরীর কান্দিপাড় মোড়,লাকসাম রোড,কান্দিরপাড় থেকে রানীর বাজার সড়কের প্রবেশ মুখ ও টমছম ব্রিজে বেশি যানজট হয়। এখানে সিএনজি অটো রিকশা,ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা ও রিকশা দাঁড়ানোর কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এগুলোকে সরিয়ে দিতে হবে।

নগরীর দারোগা বাড়ি এলাকার বাসিন্দা আলী আকবর মাসুম বলেন, নগরীর সড়ক গুলো অনেক সংকীর্ণ। তার উপরে প্রয়োজনের বেশি ইজিবাইক ও রিকশা চলছে। সড়ক সম্প্রসারিত না করলে এবং দক্ষ ট্রাফিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা না করা গেলে দুর্ভোগ দিন দিন বাড়তে থাকবে।
কুমিল্লার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো.এমদাদুল হক বলেন, নগরীতে দিন দিন গাড়ি ও মানুষের চাপ বাড়ছে। আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। এদিকে নগরীর অধিকাংশ মার্কেটের আন্ডার গ্রাউন্ডে গাড়ি রাখার কথা। সেখানেও দোকান বসানো হয়েছে। অনেকে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন। সবাই সচেতন না হলে পুলিশ একা কিছু করতে পারবেনা। এছাড়া ট্রমছম ব্রিজ মোড়ের সড়ক ভাঙা। এটা দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, কান্দিরপাড়কে কেন্দ্র করে নগরীর দুই কিলোমিটারের মধ্যে শত শত সরকারি অফিস, স্কুল-কলেজ, প্রাইভেট ক্লিনিক-চেম্বার-ডায়াগনস্টিক, মার্কেট বা শপিংমল রয়েছে। যদি সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, কান্দিরপাড় এলাকায় কোনো গাড়ি ঢুকবে না। ভিআইপি সিআইপি সবাই হাঁটবে। মালামালের ট্রাক কেবল গভীর রাতে ঢুকবে। তাহলে কিছু যানজট কমবে। পাশাপাশি, কিছু রাস্তা ওয়ান ওয়ে করা। দক্ষ ও সৎ ট্রাফিক পুলিশিং, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং সিস্টেম, সিটি করপোরেশনের সৎ ট্রাফিক স্টাফ নিয়োগ করাও জরুরি। এদিকে ফুটপাথ দখল করে দোকান বা রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী রাখা বা অটো-সিএনজি অটো রিকশার স্ট্যান্ড করা যাবে না। হকারদের উচ্ছেদ ও অবৈধ পার্কিং করে এমন গাড়ি সরাতে হবে। সরকারি বেসরকারি লোকদের কারো ক্ষুদ্র স্বার্থের কারণে যেন এসব বিশৃংখলা না চলে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতো আমরাও মনে করি,কান্দিরপাড় ঘিরেই যত যানজট। তাই ওই এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করা যেতে পারে। সিআইপি ভিআইপি সবাই হাঁটবে। দক্ষ ও সৎ ট্রাফিক পুলিশিং, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং সিস্টেম, সিটি করপোরেশনের সৎ ট্রাফিক স্টাফ নিয়োগ করা জরুরি। ফুটপাথ দখল করে দোকান বা রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী রাখা বা অটো-সিএনজি অটো রিকশার স্ট্যান্ড করা যাবে না। হকারদের উচ্ছেদ ও অবৈধ পার্কিং করে এমন গাড়ি সরাতে হবে। তাহলে কমতে পারে দুঃসহ যানজট।