রাতে পুলিশের অভিযান সকালে পুকুরে নারী আসামির মরদেহ
আমোদ প্রতিনিধি।
কুমিল্লার চান্দিনায় রাতে বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। সকালে বাড়ির পাশের পুকুরে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামির মরদেহ পাওয়া যায়। রবিবার উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের গল্লাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের খারকান দিঘির পাড়ে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিনা বেগম (৪০) ওই গ্রামের দিন মজুর নাছির উদ্দিন এর স্ত্রী।
জানা যায়, একই এলাকার এক ব্যক্তির সাথে টাকা পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালত নাছির উদ্দিন, তার স্ত্রী সেলিনা বেগম ও মেয়ে তানজিনা আক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। গত ১১ আগস্ট ওই গ্রেফতারী পরোয়ানা চান্দিনা থানায় আসলে পুলিশ ১৩ আগস্ট রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করতে ওই বাড়িতে যায়। এসময় একই ঘরে থাকা নাছিরের স্ত্রী সেলিনা বেগম প্রাকৃতিক ডাকের কথা বলে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ খোঁজাখুজি করে সেলিনা বেগমকে না পেয়ে নাছির উদ্দিন ও তার মেয়ে তানজিনাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
পরদিন রবিবার সকালে এলাকার লোকজন বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ওই নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সেলিনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নাছির উদ্দিন জানান, রবিবার রাত দেড়টার দিকে পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে ডাক দিলে আমি দরজা খুলি। তখন পুলিশ জানায় আমাদেরকে থানায় আসতে হবে, আমাদের নামে নাকি ওয়ারেন্ট আছে। এসময় আমার স্ত্রী বাহিরে যাবে (প্রাকৃতিক ডাকে) চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আর আমার স্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ চলে আসার পর মামলার বাদী পক্ষ আমার স্ত্রীকে হত্যা করে পানিতে ফেলে দিতে পারে।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, আমাদের পুলিশ গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামি আটক করতে যায়। কিন্তু ওই নারী কৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে পাওয়া হয়নি। ওই নারীর বসত ঘরের পিছনে থাকা ওই পুকুরের পাড় অনেক উঁচু। হয়তো গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পা পিছলে পুকুরে পড়ে যেতে পারে। পুকুরের মধ্যে অনেক ঝোপঝাড় থাকায় উঠে আসাও সম্ভব হয়নি তার।
তিনি আরও বলেন, আমরা ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছি। ওই নারীর মৃত্যুর বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।