লক্ষ্মী পেঁচার সংসারে এলো চারটি ফুটফুটে ছানা
মাহফুজ নান্টু।
কুমিল্লা সদর উপজেলার রঘুপুর এলাকায় একটি অফিসের ফলস ছাদে বাসা তৈরি করেছে এক জোড়া লক্ষ্মী পেঁচা। এই লক্ষ্মী পেঁচার সংসারে এসেছে চারটি ফুটফুটে ছানা। বুধবার থেকে দুর্গন্ধের কারণে লোকজন খবর নিতে গিয়ে লক্ষ্মী পেঁচার চারটি ছানার সন্ধান পায়। এদিকে দিনভর বাসায় ফেরেনি বাবা ও মা ।
এইড কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বেগম শেফালী বলেন, প্রথমে দুর্গন্ধের কারণ জানা যায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় অফিসের একটি কক্ষের ফলস ছাদে বাসা তৈরি করে লক্ষ্মী পেঁচা। পেঁচার চারটি ছানাকে ছাদের উপরে রেখেছি।
এইড কুমিল্লার ছাদে গিয়ে দেখা যায়, ছাদের কোনায় কার্টনে জুবুথুবু হয়ে বসে আছে চারটি লক্ষ্মীপেঁচার ছানা। আগন্তুক কাউকে দেখলেই ভয়ে জড়সড় হয়ে যায়। তাদের খাবারের জন্য চাল দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, পরিবেশ রক্ষায় লক্ষ্মীপেঁচার অনেক অবদান রয়েছে। মানুষের আগ্রাসনী আচরণে লক্ষ্মীপেঁচারা বর্তমানে বিপন্ন প্রায় প্রজাতির। যে চারটি ছানা আজ পাওয়া গেলো সেগুলোকে কোন ক্ষতি না করে তাদের নিরাপদ বাসস্থান তৈরি করে দেয়া হবে আমাদের কাজ। কৃষি প্রধান অঞ্চলে পেঁচাদের প্রধান শিকার ইঁদুর। লক্ষ্মীপেঁচারা পরিবেশ ও কৃষকের প্রকৃত বন্ধু।
কুমিল্লা সামাজিক বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম বলেন, আমরা খবর পেয়েছি। আমরা এইড কুমিল্লা অফিসের নির্বাহী পরিচালককে বলেছি পেঁচার ছানাগুলোকে যেন নিরাপদে রাখা হয়।